অবশেষে বিধায়কের শপথ গ্রহণের জট কাটল। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার বিকেলে রাজভবনেই শপথ নেবেন ধূপগুড়ির সদ্য জয়ী তৃণমূল বিধায়ক ডক্টর নির্মলচন্দ্র রায়। সূত্রের খবর, রাজভবনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ আদালতের তরফে আমেরিকা সফরের অনুমতি পেল কুণাল
জানা গিয়েছে, রাজভবনের তরফ নতুন করে স্পিকার এবং পরিষদীয় মন্ত্রীকে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে বিধানসভা নয়, রাজভবনেই শপথ অনুষ্ঠান করার বিষয়ে অনড় থাকেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিকে শপথ অনুষ্ঠান পিছিয়ে যাওয়ায় এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে গিয়ে প্রশাসনিকভাবে সমস্যায় পড়ছিলেন সদ্য জয়ী ধূপগুড়ির বিধায়ক। তাই সব দিক বিবেচনা করে রাজভবনের শপথ অনুষ্ঠানেই সম্মতি জানানো হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল। রাজ্যপালকে ‘খোকাবাবু’ সম্বোধন করে দলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষে কটাক্ষ, “খোকাবাবুর জেদ, আমিই শপথবাক্য পাঠ করাব। যেটা বিধানসভায় মহামান্য স্পিকারের করার কথা। যাকে শপথবাক্য পাঠ করান, যত দেরিতেই করান। তৃণমূলের বিধায়ককেই কিন্তু শপথবাক্যটা পাঠ করাতে হচ্ছে!”
৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ির উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়। জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়। তারপরই শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজ্যের তরফে রাজভবনে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, রাজ্যের ওই চিঠির কোনও সদুত্তর না দিয়ে গত শনিবার রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করার জন্য ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল চিরাচরিত প্রথা ভেঙে বিধানসভার পরিবর্তে রাজভবনে শপথ পাঠ করাতে চাওয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলেও।
বিষয়টিকে ঘিরে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয় রাজ্য বনাম কাজভবনের মধ্যে। যদিও রাজ্যপালের ওই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি ধূপগুড়ির বিধায়ক। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রীও বিদেশ সফরে ছিলেন। দলের তরফে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ফিরলেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, অবশেষে রাজ্যপালও শপথ অনুষ্ঠানের বিষয়ে স্পিকার এবং পরিষদীয় মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোয় বিষয়টি নিয়ে আর সংঘাতের পথে হাঁটেনি তৃণমূল। ফলে তিন সপ্তাহ পর অবশেষে শপথ অনুষ্ঠান হতে চলেছে ধূপগুড়ির বিধায়কের। মুখ্যমন্ত্রী ফিরলেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, অবশেষে রাজ্যপালও শপথ অনুষ্ঠানের বিষয়ে স্পিকার এবং পরিষদীয় মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোয় বিষয়টি নিয়ে আর সংঘাতের পথে হাঁটেনি তৃণমূল। ফলে তিন সপ্তাহ পর অবশেষে শপথ অনুষ্ঠান হতে চলেছে ধূপগুড়ির বিধায়কের।