আদালতের তরফে আমেরিকা সফরের অনুমতি পেল কুণাল

আদালতের তরফে আমেরিকা সফরের অনুমতি পেল কুণাল

এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে আমেরিকা যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এই অনুমোদন দিয়েছে। বিচারপতি বাগচীর নির্দেশ, কুণাল এখনই আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। শুধু যাওয়ার আগে তাঁর সফরসূচি হাই কোর্টকে জানিয়ে দিতে হবে, জানিয়েছে জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।  পাশাপাশি কুণালকে আমেরিকা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া নিয়ে তাত্‍পর্যপূর্ণ ভাবে সিবিআই-এর তরফে কোনও আপত্তি করা হয়নি।

আরও পড়ুনঃ মঙ্গলবার ইডির তলবে যাচ্ছেন না অভিষেক, নিজে জানালেন সেকথা

কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী এর আগে আদালতকে রিপোর্ট দিয়ে জানান, কুণাল আদালতের সব নির্দেশ মেনেই স্পেন এবং দুবাই সফর করে ফিরেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, স্পেন এবং দুবাই সফরের আগেও কুণাল সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন এবং আইন মোতাবেক ফেরত এসেছেন, বিদেশ সফরে আইনভঙ্গের কোনও অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠেনি। আইন মোতাবেক ফেরত এসেছেন, বিদেশ সফরে আইনভঙ্গের কোনও অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠেনি।

 

প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর স্পেনের বাণিজ্য সম্মেলনে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যের শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল। কিন্তু যে হেতু তিনি রাজ্যের একটি তদন্তাধীন মামলায় অভিযুক্ত, সে জন্য তাঁর স্পেন যাত্রায় আপত্তি করেছিল সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কিন্তু গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইয়ের আপত্তি খারিজ করে জানিয়েছিল, ”কুণাল অভিযুক্ত হলেও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। তাই বিদেশযাত্রা আটকানো যায় না। তা ছাড়া কুণাল বিদেশ গেলে তদন্ত কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা জানাতে পারেনি সিবিআই। এ ব্যাপারে তাদের দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণও দাখিল করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।” সে জন্য তাঁর স্পেন যাত্রায় আপত্তি করেছিল সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কিন্তু গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইয়ের আপত্তি খারিজ করে জানিয়েছিল, ”কুণাল অভিযুক্ত হলেও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। তাই বিদেশযাত্রা আটকানো যায় না। তা ছাড়া কুণাল বিদেশ গেলে তদন্ত কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা জানাতে পারেনি সিবিআই। এ ব্যাপারে তাদের দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণও দাখিল করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।”

en.wikipedia.org