“অন্নপ্রাশনের ভাত মুখে উঠে এল”—কবরডাঙার রাস্তা পেরিয়ে শ্যুটিংয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

“অন্নপ্রাশনের ভাত মুখে উঠে এল”—কবরডাঙার রাস্তা পেরিয়ে শ্যুটিংয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



বিনোদন- বর্ষার জলকাদা মিশিয়ে শ্যুটিং স্পটে পৌঁছানোর লড়াই যেন এখন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। সদ্য এক ফেসবুক পোস্টে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি লেখেন—“কবরডাঙা অবধি যেতেই আমার অন্নপ্রাশনের ভাত মুখে উঠে এল!”

টেলিপাড়ার পরিচিত মুখ অনিন্দ্য বর্তমানে ব্যস্ত ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’ এবং ‘বুলেট সরোজিনী’-এর শ্যুটিং নিয়ে। একাধিক স্টুডিও—ইন্দ্রপুরী থেকে ম্যাকনেইল—তাঁর প্রতিদিনের যাত্রাপথে। সেই পথেই বেহাল রাস্তাঘাট তাঁকে ফেলেছে মহা বিপাকে। ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, রাস্তা জুড়ে জল জমে আছে। গর্ত আর কাদায় ভর্তি রাস্তায় চলছে অটো, প্রাইভেট গাড়ি। গাড়ির কাঁচের ভেতর থেকেই এই ছবি তুলে অভিনেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অনিন্দ্য জানান, টালিগঞ্জ করুণাময়ী থেকে শর্টকাট ধরতে গিয়ে কবরডাঙার রাস্তা ধরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এই রাস্তার দুরবস্থা তাঁকে কার্যত বিপদে ফেলে। তিনি বলেন, “এই রাস্তার ওপরেই রয়েছে ঠাকুরপুকুর ক্যানসার রিসার্চ হাসপাতাল। রোগীদের কী কষ্ট হয় ভাবতে পারছেন?”

প্রসঙ্গত, এই একই রাস্তা ধরে ম্যাকনেইল বা চিত্রায়ণের স্টুডিওতে পৌঁছানো অনেকেরই রোজকার রুটিন। কিন্তু বর্ষার সময় রাস্তাগুলোর যা দশা, তা যেকোনও গাড়িচালকের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুধু অনিন্দ্য নন, গত বছর অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ও এই রাস্তার করুণ দশা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন।

অনিন্দ্যর মতো বহু কলাকুশলীকেই প্রতিদিন এমন বিপজ্জনক রাস্তায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—শিল্পী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কেন প্রশাসনের উদাসীনতা? অনিন্দ্যর ফেসবুক পোস্টে এখন অনেকেই সুর মিলিয়েছেন—একটা কার্যকর সংস্কারের দাবি যেন দিন দিন জোরালো হচ্ছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top