উত্তর 24 পরগনা- স্ত্রীকে ফিরে পেতে পুলিশের সামনেই ধর্ণায় বসে পড়লেন এক স্বামী। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর রায়পাড়ায়। স্ত্রী মৈত্রী সিনহা মণ্ডলকে ফিরে পেতে সাহেবখালি পুলিশ ক্যাম্পের সামনে রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে বসে পড়েন স্বামী সিদ্ধার্থ মণ্ডল।
সিদ্ধার্থর অভিযোগ, ২০ জুন স্ত্রী মৈত্রী তাঁর বাপের বাড়িতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে আর বাড়ি ফিরতে দিচ্ছেন না। ২৫ জুন তিনি স্ত্রীকে আনতে শ্বশুরবাড়িতে গেলে শ্বশুর গৌরাঙ্গ সিনহা, ভাই গৌতম মণ্ডল (একজন স্কুল শিক্ষক) এবং শালী মোনালিসা সিনহা তাঁকে মারধর করেন এবং স্ত্রীকে আটকে রাখেন। সিদ্ধার্থ জানান, “আমাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে। আমি শুধু আমার স্ত্রীর সঙ্গে শান্তিতে সংসার করতে চাই। তাই এই ধর্ণা।”
এদিকে স্ত্রী মৈত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমার স্বামী আমাকে ভালোবাসে না। আমি কেন তার সঙ্গে সংসার করব? যদি সংসার করতে হয়, তাহলে ওকে আমার বাড়িতে এসে থাকতে হবে। না হলে আমার কোনও আগ্রহ নেই সংসারের।”
এই ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একদিকে প্রেম ও বিবাহের আইনি বৈধতা, অন্যদিকে দাম্পত্যের টানাপোড়েন—ঘটনার গভীরে রয়েছে ব্যক্তিগত টানাপোড়েনের পাশাপাশি পারিবারিক সংঘাতও। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, আদৌ কি এই সমস্যার পেছনে রয়েছে ভালোবাসার অভাব, না কি অন্য কোনও গোপন সম্পর্ক বা পারিবারিক চাপে ভেঙে পড়ছে সম্পর্ক?
ঘটনার পর স্বামী সিদ্ধার্থ মণ্ডল হিঙ্গলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, শ্বশুরবাড়ির অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
এখন দেখার বিষয়, এই জটিল পারিবারিক সমস্যার কী সমাধান মেলে এবং আইনি পথে কোন দিকে মোড় নেয় এই বিবাহিত জীবনের সংঘর্ষ।
