সুন্দরবনের বাঙালি শ্রমিকদের কাজ হারানোর শঙ্কা, কারখানা বাঙালি রাখবে না দাবি

সুন্দরবনের বাঙালি শ্রমিকদের কাজ হারানোর শঙ্কা, কারখানা বাঙালি রাখবে না দাবি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



দক্ষিণ ২৪ পরগনা – দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরের একটি জুতোর কারখানায় সুন্দরবনের বাঙালি শ্রমিকরা হঠাৎ কাজ হারিয়েছে। সন্দেশখালির শিরিষতলা এলাকার গৌরাঙ্গ বাড়ুই, সনজিৎ মন্ডলসহ পাঁচজনকে কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাদের একমাত্র “অপরাধ” হলো তারা বাঙালি এবং বাংলায় কথা বলে।কর্তৃপক্ষের দাবি, ভবিষ্যতে ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিক এনে কারখানায় কাজ করানো হবে। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাটাই হওয়া শ্রমিকরা। তারা কারখানার বাইরে বিক্ষোভ দেখালেও কোনো সমাধান মেলেনি এবং শেষে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে।এই ঘটনা প্রমাণ করে, শ্রমিকদের কাজে কোনো গাফিলতি বা ভুল নেই। তবুও সংস্থা তাদের সরিয়ে ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো রীতিমতো অসহায় অবস্থায় পড়েছে।

সন্দেশখালির প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান অত্যন্ত সীমিত। তাই তাঁরা দূরদূরান্তে কাজের জন্য যেতে বাধ্য হন। কিন্তু সেইসব জায়গাতেও একই ধরনের বৈষম্যমূলক ঘটনা ঘটায়, যা তাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।এ মুহূর্তে গৌরাঙ্গ বাড়ুই, সনজিৎ মন্ডলসহ বাকি শ্রমিকরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় আছেন। সংসার চলবে কীভাবে, খাদ্য ও দৈনন্দিন খরচ কিভাবে পূরণ হবে—এ সব প্রশ্ন তাঁদের মাথায় ঘুরছে।কাজ হারানোর পর পরিবারগুলো এখন দিনে অর্ধেক খেয়ে জীবন চালাতে বাধ্য। মৌলিক চাহিদা পূরণও কঠিন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি দেখে স্থানীয়রা এবং শ্রমিকরা মুখ্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন।এই ঘটনার ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে অসন্তোষ এবং উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাঁরা আশা করছেন, সরকার দ্রুত হস্তক্ষেপ করবে এবং বৈষম্যমূলক এই সিদ্ধান্ত বাতিল হবে।স্থানীয় শ্রমিকদের মতে, কারখানার কাজ ছাড়াই জীবনযাত্রা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পরিবারগুলোর জন্য দৈনন্দিন জীবিকা এখন মূল সমস্যা।

উল্লেখ্য, এই ধরনের বৈষম্য শুধু পাঁচজন শ্রমিককে প্রভাবিত করেনি; আরও কয়েকজন বাঙালি শ্রমিকও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। ফলে গোটা এলাকায় আতঙ্ক এবং অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।ছাটাই হওয়া শ্রমিকরা এখন কোথায় কাজ করবেন, সেটাই তাদের প্রধান চিন্তা। তাঁদের অভিযোগ, কারখানা তাদের কোনো কারণ দেখিয়ে বের করেছে। শুধুমাত্র স্থানীয় ভাষা এবং রাজ্যভিত্তিক পরিচয়ের কারণে এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।এলাকার মানুষও উদ্বিগ্ন, কারণ যদি এই প্রবণতা চলতে থাকে, ভবিষ্যতে আরও অনেক স্থানীয় শ্রমিক কাজ হারাতে পারেন। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বড় হতে পারে।শ্রমিকরা আশা করছেন, সরকার এবং প্রশাসন এই ঘটনার দিকে নজর দেবে এবং বাঙালি শ্রমিকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করা হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top