গোটা শ্মশানের জমিই লোপাট!! জানতে পেরে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করায় হুমকি ফোন বিএলআরওকে

গোটা শ্মশানের জমিই লোপাট!! জানতে পেরে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করায় হুমকি ফোন বিএলআরওকে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

গোটা শ্মশানের জমিই লোপাট!! জানতে পেরে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করায় হুমকি ফোন বিএলআরওকে ।। এবার খোদ শ্মশানের জমিই লোপাটের অভিযোগ উঠলো ঐতিহ্যবাহী ধান্যকুড়িয়া গ্রামে। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের মাটিয়া থানার ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঐতিহ্যবাহী মাটিয়া মহাশ্মশান। ৫৯ শতক জমিতে এই শ্মশানের পত্তন করেন তৎকালীন সময়ের ধান্যকুড়িয়ার জমিদাররা। তাদের পরিবার সহ আশপাশের বহু গ্রামের হিন্দু পরিবারের সৎকার কাজের অন্যতম ঠিকানা ছিল এই মহাশ্মশান।

 

স্বাধীনতার পরে জমিদারি প্রথা লোপ পেলে এই জমিটি সরকারের অধীনস্থ হয়ে যায় কিন্তু শ্মশান ও শ্মশান সংলগ্ন মন্দির একইভাবে চলতে থাকে। কিন্তু বাঁধ সাধলো অন‍্য জায়গায়। বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় বাসিন্দা তথা অল ইন্ডিয়া রেডিওর প্রাক্তন সাংবাদিক ছন্দক বাইন জানতে পারেন যে ওই শ্মশানের জমি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সেই মতো তিনি অভিযোগ জানান বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের বিএলআরওকে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বিএলআরওর চক্ষু চড়ক গাছ। রেকর্ড ঘেঁটে তিনি দেখতে পান যে ওই জমি আর.এস. রেকর্ড অবধি সরকারি ছিল। কিন্তু আর.এস. রেকর্ডের পর তা রায়তঃ সম্পত্তি অর্থাৎ ব্যক্তিগত মালিকানায় পরিণত হয়।

 

ব্যাপারটি সম্পর্কে তিনি জানতে পেরে অবিলম্বে জমির ‘লিখিত’ দুই মালিক অশ্রু কুমার ঘোষ ও অলোক কুমার ঘোষকে নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠান। নোটিশ পাঠানোর পরেই বিএলআরও এর কাছে হুমকি ফোন আসে। কে বা কারা ফোনটি করেছিল সে সম্পর্কে তিনি জানেন না। তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চাইলে তারা শ্মশানের জমির কথা উল্লেখ করে। ফোনটি পাওয়ার পর বি এল আর ও অভিযোগ দায়ের করেন মাটিয়া থানায়। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আর.এস. রেকর্ডে থাকা শ্মশানের নামে থাকা সরকারি জমি কিভাবে রাতারাতি পাল্টে গেল ব্যক্তিগত মালিকানায়? স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার কথা জানতে পেরে শ্মশানের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন – ইদ -উল- আযহা উপলক্ষ্যে ভারত- বাংলাদেশ বৈদেশিক বানিজ্য স্থগিত সপ্তাহব্যাপী

পাশাপাশি সোচ্চার হয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ‍্যক্ষরাও। যদিও জমির মালিক অশ্রু কুমার ঘোষ ও অলক কুমার ঘোষরা জানান, ঐ জমির যথোপযুক্ত নথিপত্র তাদের কাছে রয়েছে। সেই ৫৯ শতক জমির থেকে শ্মশানের জন্য ২০ শতক শ্মশানের জন্য দানও করেছেন। বাকি জায়গাটিতে তারা মাছ চাষ করেন। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা। তারা চাইছেন কোনভাবেই ঐতিহ্যবাহী এই মহাশ্মশান যেন ব্যক্তিগত মালিকানায় পরিণত না হয়, নয়তো তারা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top