বিজেপির বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে রনক্ষেত্র ব্যারাকপুর,পুলিশের লাঠিচার্জ। বিজেপি বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে রনক্ষেত্র ব্যারাকপুর। মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে রাজ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। মিছিলের শুরুতেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একপ্রস্থ বচসা বাধে।
এরপর মিছিলটি এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে,বিটি রোড ধরে। পুলিশ কমিশনারেট অফিসের ২০০ মিটার আগে মিছিল পৌঁছতেই ফের পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, এদিন মিছের অনুমোতি থাকলেও,কুশপুত্তলিকা দাও করবার অনুমতি ছিল না। তথাপি বিজেপি কর্মীরা গোপনে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুশপুত্তলিকা নিয়ে এসে বিটি রোডের ওপর দাও করার চেষ্টা করলে পুলিশ সক্রিয়তার সঙ্গে তাদের হাত থেকে কুশপুত্তলিকা কেড়ে নেয়।
আরও পড়ুন – কমনওয়েলথে সবচেয়ে সফল ভারতীয় অ্যাথিলট কে?
তখনই উত্তেজিত বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা জোর করে তথা বলপূর্বক পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ বিজেপি সমর্থকদের ওর মৃদু লাঠিচার্জ করে ও মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দেখা গেছে বচসা চলাকালীন উত্তেজিত বিজেপি সমর্থকরা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তাদের উদ্যেশ্যে কুটুক্তি করতে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দিপ ব্যানার্জি বলেন,আমারা শান্তিপুর্ন ভাবে মিছিলটি সংগঠিত করছিলাম। সেই সময় পুলিশ আমাদের কর্মী ও নেতা-নেত্রীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। মহিলা কার্যকতাদেরও রেহাই দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের লাঠির আঘাতে রাজ্য বিজেপির সহ সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র,অপর্না বল সহ চারজন গুরুতর অবস্থায় ব্যারাকপুর বি এন বোস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফাল্গুনী দেবীর নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অপর্না বলের চশমা ভেঙে চোখে আঘাত লেগেছে। তার আরও অভিযোগ,পুলিশ নির্বিচারে মহিলা কার্যকতাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। বিষয়টি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। আগামী দিনে এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। তার দাবি এদিনের ঘটনায় পুলিশ তাদের ২৬ জন কার্যকর্তাকে আটক করেছে। আচমকা এই ঘটনায় ব্যাস্ততম বিটি রোডে ব্যাপক জানজটের সৃষ্টি হয়।