সদর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন। জরুরী বিভাগের সামনে চললো গুলি চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের ঘটনা। একেবারে ফিল্মি কায়দায়। হাসপাতালের ভেতরে চললো গুলি। গুরুতর আহত হাসপাতালে মেডিকেল করতে নিয়ে আশা হুগলি সংশোধনাগারের এক বিচারাধীন বন্দী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো জেলা সদর হাসপাতাল চুঁচুড়ায়। আহত বিচারাধীন বন্দির টোটোন বিশ্বাস। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বেলা।
ইমারজেন্সিতেও রোগীদের ভিড়। তখনই হুগলি সংশোধনাগার থেকে হাসপাতালে মেডিকেল করতে আনা হয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটোন বিশ্বাস কে। একটি প্রিজন ভ্যান এবং একটি টাটা সুমো গাড়ি এসে দাঁড়ায় হাসপাতালের ইমারজেন্সি গেটের সামনে। টাটা সুমো গাড়িতে ছিলো টোটোন। এদিন ছিলো তার চুঁচুড়া আদালতে হাজিরার দিন। জানা গেছে, আততায়ীরা সংখ্যায় ছিলো তিন জন। মুখে মাস্ক পরে আগে থেকেই তারা হাসপাতালের ইমারজেন্সি গেটের বাইরে ধাপিতে বসে ছিল। পুলিশ টোটোন বিশ্বাস কে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন – মিরিখ শীঘ্রই একটি সবুজ শহরে পরিণত হবে
মেডিকেল করিয়ে বেরোনোর সময় ইমার্জেন্সির দরজাতেই তাকে লক্ষ করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে টোটোন বিশ্বাসের বা দিকের পেটে। ওই অবস্থায় ছুটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে উঠে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে সে। ওদিকে আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে সেখান থেকে পালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে হাসপাতাল চত্ত্বর। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোগী, রোগীর আত্মীয় স্বজন যে যেদিকে পারেন ছুটে পালানোর চেষ্ঠা করেন।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই হাসপাতালে আসেন সিপি চন্দননগর কমিশনারেট অমিত পি জাভালগি, ডিসি হেড কোয়ার্টার নিধি রাণী, ডিসি চন্দননগর বিদিত রাজ ভুন্দেশ, এসিপি সদর মৌমিতা দাস ঘোষ, আইসি চুঁচুড়া অনুপম চক্রবর্তী সহ পুলিশে পদস্ত আধিকারিকেরা। খুন, রাহাজানি, তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে টোটোন বিশ্বাসের নামে। মাদক পাচার সংক্রান্ত অভিযোগে গত বছর তিনেকের বেশি সময় সে রয়েছে জেলে। আর আগেও একবার রবীন্দ্র নগরে ঢুকে তাকে খুনের চেষ্ঠা চালিয়েছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস। বর্তমানে সেও জেলে বন্দী।