হঠাৎ করে রাজনৈতিক মঞ্চে লাফিয়ে পড়লেন শোভন। হঠাৎ রাজনৈতিক মঞ্চে লাফিয়ে পড়লেন শোভন চ্যাটার্জী। সুযোগ পেয়েই বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে প্রায় কামড়ে দিলেন একদা দিদির স্নেহের কানন। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম নিয়ে শুভেন্দু মমতা ব্যানার্জীকে বিঁধে মিডিয়ায় বিরূপ মন্তব্য করেন। শোভন তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন।
তার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় একটা ‘ভাঁড়’। ওসব ভাঁড়েদের কথার কী গুরুত্ব আছে’। শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে ভিডিও বার্তায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঠিক এই ভাষাতেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী নিজের আগের বক্তব্যে অনড় থেকে সোমবারও বলেন, ‘২০০৮ সালের ১৩ ই মার্চ তৃণমূল দলের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিকুঞ্জে শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির চার তলায় একটি ঘরে রাত কাটিয়েছিলেন।
পরের দিন সকালে ১৪ মার্চের গণহত্যার বর্ষপূর্তির দিন সকাল বেলা কাঁথির শান্তিকুঞ্জ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোকুলনগরের অধিকারী পল্লী যেখানে গুলি চলেছিল সেখান গিয়ে মাটি সংগ্রহ করেন কলকাতায় গিয়ে মিছিল করেছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাজার গরম করার জন্য’। বলাবাহুল্য, নীরবতা ভেঙে হঠাৎই রাজনীতির কথা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মুখে৷ নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। মিডিয়া বেশ মজা পেয়ে যায়।
যে নন্দীগ্রাম একটি সরকারকে উল্টে দিয়ে নতুন সরকার দিতে পারে তা নিয়ে বাদানুবাদ স্বাভাবিক। সেই আন্দোলনের কথা টেনে এনে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় পাল্টা শুভেন্দুর বক্তব্যকে অসত্য বলে দাবি করেন শোভন ৷ একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে শোভনের হুঁশিয়ারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মানহানি করার চেষ্টা করলে যতদূর যাওয়ার তিনি যাবেন ৷ হঠাৎ করে শোভনের এই সক্রিয়তায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, তিনি কি ফের তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন? শোভন অবশ্য এই ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, ‘কোনও কিছু পাওয়ার লোভে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী হিসেবেই এই প্রতিবাদ করছেন তিনি।
গতকাল শিশির অধিকারীর সঙ্গে দেখা করতে কাঁথিতে তাঁর বাড়ি শান্তিকুঞ্জে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ এই সাক্ষাৎ পর্ব শেষেই শুভেন্দু সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘নন্দীগ্রাম না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না৷’ বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট বোঝানোর চেষ্টা করেন, অধিকারী পরিবার না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে নন্দীগ্রাম আন্দোলন সফল হত না। আর তা নিয়েই শুভেন্দু- শোভনের মধ্যে তরজায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যদিও শোভন চ্যাটার্জী মনে করেন মমতার আন্দোলন মমতাকে চৌত্রিশ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে উৎখাত করেছেন।