তৃণমূলের মহামিছিলকে সার্থক করতে জোর প্রচার

তৃণমূলের মহামিছিলকে সার্থক করতে জোর প্রচার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

তৃণমূলের মহামিছিলকে সার্থক করতে জোর প্রচার। শিলিগুড়িতে যুব তৃণমূল ও মহিলা তৃণমূলের ব্যানারে মহামিছিল কে সার্থক করে তুলতে জোর প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে দিনহাটায়। আগামী ২৬ শে নভেম্বর এই কর্মসূচিকে সার্থক করে তোলার পাশাপাশি লোকসভার ভোটকে পাখির চোখ করে পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পদযাত্রা করল তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।

 

বৃহস্পতিবার দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের সীমান্ত গ্রাম শুকারুরকুঠিতে এই পদযাত্রা হয়। পাশাপাশি দিনহাটার সুভাষ ভবন এবং অলোক নন্দী ভবনেও যুব এবং মহিলা তৃণমূলের নেতৃত্বদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।এদিন শুকারুরকুঠিতে তৃণমূলের উদ্যোগে এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দিনহাটা দুই ব্লক সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য, দলের অঞ্চল সভাপতি সেকেন্দার আলী, স্থানীয় তৃণমূল নেতা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দীপক সেন, ফারুক মিয়া সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

 

তৃণমূলের এই পদযাত্রাকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। দিনহাটা মহাকুমার বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে এই পদযাত্রার পাশাপাশি নানা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য জয়দীপ ঘোষ বলেন,”চাকরি দুর্নীতি থেকে শুরু করে কয়লা কাণ্ডসহ বিভিন্ন রকম দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে রাজ্য সরকার।

 

দুর্নীতিগ্রস্ত এই সরকারকে বিদায় জানাতে অপেক্ষায় রয়েছে গ্রামের সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় পদযাত্রার মধ্য দিয়ে গ্রামে গঞ্জে নানাভাবে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো শুরু করেছে। মানুষ অপেক্ষায় রয়েছে বিদায় জানানোর।”তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য জানান, কোচবিহারের সাংসদ আমাদের লজ্জা। আর সেই সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই বিজেপি দল সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাশাপাশি বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত করছে ।তাদের মানুষ আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভার ভোটের মধ্য দিয়ে আস্থাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।”

আরও পড়ুন – মহার্ঘ্যভাতা অবিলম্বে প্রদানের দাবি তুলে শিলিগুড়ি মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযান

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দিনহাটার সীমান্ত গ্রাম কুর্শাহাট বাজার থেকে ধাপরাহাট বাজার পর্যন্ত পদযাত্রা হয়। পাশাপাশি দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে এই পদযাত্রা শুরু হয়েছে।লোকসভার ভোটকে পাখির চোখ করে পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে সীমান্ত এই এলাকায় এ দিন পদযাত্রাকে ঘিরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট।

 

পাশাপাশি সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকাতেও পদযাত্রার পাশাপাশি কোথাও বুথ চলো কর্মসূচি আবার কোথাও গ্রামে চলো কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সিতাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, যুব তৃণমূলের সিতাই ব্লক সভাপতি বিশু রায় প্রামানিক, দিনহাটা এক এ ব্লক সভাপতি অরূপ সরকার, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুধাংশু রায়দের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

 

মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় আগামী কয়েক দিন এই কর্মসূচি চলবে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২৬ নভেম্বর শিলিগুড়িতে যুব ও মহিলা সংগঠনের মহামিছিল কে কেন্দ্র শহরের সুভাষ ভবন এবং অলোক নন্দী ভবনে বিভিন্ন নেতৃত্বদের নিয়ে সভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশু ধর, অনন্ত বর্মণ, ডালিয়া চক্রবর্তী।

 

তৃণমূলের দিনহাটা এক এ ব্লক সভাপতি অনন্ত বর্মন, মহিলা সংগঠনের ব্লক সভাপতি ডালিয়া চক্রবর্তী, দলের দিনহাটা শহর ব্লক সভাপতি বিশু ধর জানান, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে কোথাও পদযাত্রা কোথাও গ্রামে চলো কর্মসূচি আবার কোথাও বুথ হয়ে চলো কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনসংযোগ যেভাবে বেড়ে চলছে তাতে আশাহত হয়ে পড়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি নেতৃত্ব। তাই আবোল তাবোল বকছে।

 

তৃণমূলের দিনহাটা দুই ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য, দিনহাটা এক বি ব্লক সভাপতি অনন্ত বর্মণ জানান, আগামী কয়েক মাস পরেই পঞ্চায়েত ভোট। তারপরেই ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছে দেশের মানুষ। এই অবস্থায় দলকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে এ দিন শুকারুরকুঠিতে পদযাত্রা হয়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top