চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। প্রাথমিক স্কুলের সহশিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির জেলা কিষাণ মোর্চার সভাপতি জ্যোতিষ সরকারের বিরুদ্ধে। চোপড়ার বাসিন্দা গোবিন্দ চন্দ্র সিংহের অভিযোগ, ২০১৪ সালে তাঁর মেয়ে সহ আরও এক আত্মীয়ের প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার টোপ দেখিয়ে ১০ লক্ষের কাছাকাছি পরিমাণ টাকা নেন আরএসপি’র প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তথা বর্তমানে বিজেপির কিষান মোর্চার জেলা সভাপতি জ্যোতিষ সরকার।
এরপর চাকরি না হওয়ায় বারংবার টানা ফেরতের দাবি করা হলে জ্যোতিষ বাবু সামান্য কিছু টাকা ফেরত দেন। আরও ৯ লক্ষ টাকা কাছাকাছি অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে বলে অভিযোগ করেন গোবিন্দ চন্দ্র সিংহ। যদিও জ্যোতিষ সরকার ব্যক্তিগতভাবে গোবিন্দ বাবুকে চিনলেও, তাঁর থেকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার অর্থ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আরএসপি করার সূত্রে আমি গোবিন্দ চন্দ্র সিংহকে চিনি। বেশ কয়েকবার আমার বাড়িতেও এসেছে। কিন্তু আমি বিজেপি করি, কেমন করে সরকারি চাকরি দেব।
ওরকম ক্ষমতা আমার নেই। উল্টে গোবিন্দ চন্দ্র সিংহের চাকরি পেতে তিনিই যে সহয়তা করেছিলেন, পরোক্ষভাবে সেকথা স্বীকার করে নেন জ্যোতিষ বাবু। তিনি বলেন, ওর চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডে আমি ছিলাম। কিন্তু এখন আমার কোনো ক্ষমতা নেই। এদিকে, ইতিমধ্যেই ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানালেন অভিযোগকারী গোবিন্দ চন্দ্র সিংহ।
আরও পড়ুন – মহার্ঘ্যভাতা অবিলম্বে প্রদানের দাবি তুলে শিলিগুড়ি মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযান
যদিও ইটাহার থানার ওসি জানান, এই ধরনের কোনো অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি। বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ৬/৭ বছর আগে উনি যখন আরএসপি করতেন, তখন চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুনেছি ইটাহার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা দলগতভাবেও বিষয়টির দিকে নজর রাখছি। অন্যায় সবসময়ের জন্য অন্যায়। টাকা আত্মসাতের