স্থায়ী ঠিকানা খুঁজে পেল মালদহের দুই অনাথ শিশু কন্যা। রাজ্যে দত্তক নেওয়ার নতুন আইনে ঠিকানা খুঁজে পেল মালদহের অনাথ হোমে থাকা পরিচয়হীন দুই শিশু কন্যা। শনিবার জেলা শাসকের দপ্তরে দুই শিশু কন্যাকে নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দিলেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া।উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকরা।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ,একজনের বয়স প্রায় নয় মাস ও অপরজনের বয়স প্রায় দুই বছর।
দুইজনই কন্যাশিশু। এতদিন তাদের স্থায়ী ঠিকানা ছিল মালদা জেলা সমাজকল্যান দপ্তরের অধীনস্হ হোম। সমাজকল্যান দপ্তরের আধিকারিকেরা ছিলেন তাদের পরিবার। তবে আজ থেকে সেই স্থায়ী ঠিকানার পরিবর্তন হল। এই দুই কন্যাশিশু খুঁজে পেলেন তাদের পরিবার। খুঁজে পেল মা ও বাবা। দুই পরিবার এই শিশুদের দত্তক নিলেন। এতদিন আদালতে আবেদনের মাধ্যমে শিশু দত্তক নেওয়ার প্রথা ছিল। এখ রাজ্য সরকারের নতুন আইনে জেলাশাসকের নির্দেশেই শিশু দত্তক নেওয়া যাবে। চালু হওয়া এই নতুন আইনে রাজ্যে প্রথম এই দুই শিশু দত্তক দেওয়া হল।
আরও পড়ুন – কর্মীদের চাঙ্গা করতে মাঠে উদয়ন
প্রসঙ্গত,প্রতিবছর সামাজিক বিভিন্ন কারণে বিশেষ করে কন্যা শিশুদের হাসপাতাল বা রাস্তায় ফেলে নিখোঁজ হয়ে যান তাদের মা। খোঁজ পাওয়া যায় না পরিবারেরও। মালদহ জেলায় সেই সংখ্যাটা ১০থেকে ১২জন প্রতিবছর থাকে। সেই সব শিশুদের সমাজকল্যান দপ্তরের আধিকারিকেরা সরকারি হোমে যত্ন সহকারে রেখে বড় করে। এরপর এইসব অনাথ শিশদের জন্য নতুন পরিবারের খোঁজ করেন। সন্তানহীন দম্পতিরা যদি এই সব শিশুদের দত্তক নেওয়ার আগ্রহী হয়। তবে সরকারি নিয়মে সন্তানহীন দম্পতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিশুদের।গত ১০বছরে এমন ১৫৬জন শিশুকে মা ও বাবা খুঁজে দিয়েছেন জেলার সমাজকল্যান দপ্তরের আধিকারিকেরা।
মালদহের জেলা শাসক নীতিন সিংহনিয়া এ বিষয়ে জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন আইনে সমাজকল্যান দপ্তরের আধিকারিকদের সঠিক পরিকল্পনা ,ইচ্ছা ও সক্রিয় ভুমিকার জন্য এদিন দত্তক দেওয়া হল। সমাজকল্যান দপ্তরের আধিকারিক বলেন শিশুদের পরিবার দিতে পেরে তারা যেমন খুশি।তেমনি শিশু ও প্রাপক দম্পতিরাও খুশি।