রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক বঞ্চনার অভিযোগ শুভেন্দু-র। আবাস যোজনা, নিয়োগ দুর্নীতি ইসুর পাশাপাশি এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি। আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে বালুরঘাটে বিক্ষোভ সভার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পিএম কিষাণ সম্মান নিধি দিয়েছেন, ৬০০০ টাকা তিন দফায় কৃষকদের, আমাদের রাজ্যের ৭৩ লক্ষ নথিভুক্ত কৃষকদের পাওয়ার কথা ছিল, পিসিমনির সরকার ৩১ লক্ষের নাম পাঠিয়ে ৪২ লক্ষ কৃষককে বঞ্চিত করেছে৷ উল্লেখ ৩-রা জানুয়ারি মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির ডাকে বালুরঘাটে বিক্ষোভ সভা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যে বিক্ষোভ সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী মুহুর্মুহ তোপ দাগেন কখনও রাজ্য সরকার তো কখনও আবার তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে। নিয়োগ দূর্ণীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারি বলেন স্বাধীনতার পরে এতবড় নিয়োগ দূর্ণীতি আর কোথাও হয়নি কোন প্রদেশে হয়নি যা পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে।
অন্যদিকে আবার আবাস যোজনা নিয়ে তৃণমূলের দিকে তোপ দেগে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন তালিকায় প্রকৃত গরিবদের নাম নেই। যারা আগেই ইন্দিরা আবাস নিয়েছে, গীতাঞ্জলি নিয়েছে, তারাই আবার নতুন করে বাড়ি নিয়েছে, এই চোরেদের তাড়াবেন তো আপনারা বলে সভাস্থলে উপস্থিতদের সামনে প্রশ্ন ছোড়েন তিনি। সভা শেষে মমতা ব্যানার্জ্জী-র দিদির দূত প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন দিদির দূত – আসছে ভূত, যার পুকুর নেই – পুকুর কেটেছে, পুকুর নেই – ১৭টা পুকুরের টাকা তুলেছে, এই ভূতরা আসছে, সাদা খাতায় চাকরি দেওয়া ভুতরা আসছে, জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য বলব।
আরও পড়ুন – দলকে চাঙ্গা করতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মালদহে এনে চমক দিতে চাইছেন কংগ্রেস
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী-র ন্যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-ও এদিন বিক্ষোভ সভা মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন৷ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করার অভিযোগ তুলে সুকান্ত মজুমদার বলেন আপনি কলকাতায় যান ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত মন্ত্রী, এখানকার তৃণমূল নেতারা এই মন্ত্রী হয়ে আছে – হ্যাফ প্যান্ট মন্ত্রী, গঙ্গার ওপাড়ে গেলে তাদেরকে কেউ চেনে না, পিসি ও ভাইপোর সামনে হাতজোড় করে বসে থাকে, একটা নেতার নাম- মন্ত্রীর নাম কলকাতায় গিয়ে বলুন কেউ চিনতে পারবে না।