অধীর চৌধুরী নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে শুরু হলো ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা। এইদিন প্রথমে মধ্যমগ্রাম সুভাষ মাঠে মঞ্চে ওঠেন অধীর চৌধুরী সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব,এবং ভারতীয় পতাকা উত্তলন করা হয়।জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সকল কংগ্রেস কর্মী ভারত জোড়ো যাত্রার শুভারম্ভ করে।
সেই সঙ্গে সঙ্গে দলীয় পতাকা উত্তলন করা হয়। ভারত জোড়ো যাত্রায় বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য সহ একাধিক জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব যোগদান করেন। তারপরেই মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে যাত্রা শুরু হয়। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধীর চৌধুরী বন্দে ভারত ট্রেনে পাথর ছোড়া নিয়ে জানান খুবই অন্যায় কাজ হচ্ছে,রেল মানুষের সম্পত্তি, আমরা পয়সা দিয়ে রেলে চড়ি ,রেল চালাতে পয়াসা লাগে।
এইভাবে যদি হামলা চলে স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের রাজ্যের জন্য অপমানকর বিষয়। শুধু তাই নয় এটা দেশের সম্পত্তি, এভাবে নষ্ট হতে দিতে পারিনা। এই করতে করতে যদি বন্দে ভারত বন্ধ হয় তাহলে আমাদের যাতায়াতের যে সুবিধা হয়েছিলো সেটা আর হবে না। এটা কখনই কাম্য হতে পারে না,এর তীব্র নিন্দা করি কংগ্রেসের তরফ থেকে।যারা এমন কাজ করছে তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন গ্রেপ্তার করুক শাস্তি দিক এটাই চাইবো।পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের যে দুরবস্থা এটা তার একটা প্রমাণ।
আরও পড়ুন – দলকে চাঙ্গা করতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মালদহে এনে চমক দিতে চাইছেন কংগ্রেস
পশ্চিমবঙ্গ মানে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করি না বলেন তাহলে এর থেকে আর অবাক হওয়ার কিছু নেই।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে হাতিয়ার করেই টিকে থাকায় বিশ্বাস করে।ধ্বংসাত্মক রাজনীতি আর তৃণমূল দুটোই সমান। ভারত জোড়ো যাত্রা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বারাসাত কলোনি মোড়ে হয়ে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে মাল্যদান করে তারপর হেলাবটতলায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করে এই যাত্রা এগিয়ে যায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আমডাঙার দিকে। আর এই যাত্রা আমডাঙ্গায় গিয়ে শেষ হবে।