রেল লাইনের বিদ্যুৎপোল উপড়ে জোর বিপত্তি! চার ঘণ্টা বিলম্ব দূরপাল্লার ট্রেন সহ বিভ্রাটের মুখে মোট আটটি ট্রেন। বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙে পড়লো রেল গেট। রেল লাইনের বিদ্যুৎপোল উপড়ে জোর বিপত্তি! চার ঘণ্টা বিলম্ব দূরপাল্লার ট্রেন সহ বিভ্রাটের মুখে মোট আটটি ট্রেন। সোমবার শিলিগুড়ি নয়াপাড়া এলাকায় একটি বেপরোয়া ট্রাক সজোরে ধাক্কা মারে রেলে গেটে। জানা গিয়েছে এদিন সাতসকালে ওই লাইনে দূরপাল্লার একটি ট্রেন ঢোকার মুখে সিগ্যনাল দিয়ে রেল গেটটি নামানো হয়।
নয়া পাড়া থেকে আমবাড়ি যাওয়ার মুখে রেল গেটটি নামার মুখেই একটি বেপরোয়া ট্রাক গিয়ে জোড় ধাক্কা মারে ওই রেল গেটে। ট্রাকটি বেপরোয়াভাবে ঢুকে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় রেল গেট। ফুল পাঞ্জাব ট্রাকের মাথায় আটকে পড়ে রেল গেটের অংশ। রেললাইনে থাকা বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে প্রায় একটি বিদ্যুৎ পোল উপরে পড়ার উপক্রম হয়। ঘটনায় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ট্রেনেটিকে আগের স্টেশনে দাঁড় করানো হয়।
যার জেরে ওই লাইনের সমস্ত ট্রেন গুলিকে দূরবর্তী স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় চার ঘন্টা বিলম্ব হয় দূরপাল্লা সহ প্যাসেনজার ট্রেনের। রেলের তরফে জানানো হয়েছে ট্রাকটিকে সরানোর পাশাপাশি লাইনের ওপর বিদ্যুৎ এর তার ছিড়ে বিভ্রাট ঘটায় রেলের কারিগরি বিভাগের কর্মীরা ব্রেক ডাউন ভ্যান নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌছায়। রেলে লাইনের ওপর বিদ্যুৎ এর তার ও বিদ্যুতের খুঁটি সারিয়ে তুলতে কয়েক ঘন্টা লেগেছে। যার জেরে সকাল ৭.৩০থেকে- ১১.৩০ পর্যন্ত ওই লাইনের সবকটি ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় দূরবর্তী স্টেশনে।
কামাখ্যা সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেইল, পদাতিক, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, কামরুপ এক্সপ্রেস, আগরতলা সপ্তাহিক এক্সপ্রেস ট্রেন গুলি চার ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। পাশাপাশি নিউজলপাইগুড়ি হলদিবাড়ি প্যাসেনজার, হলদিবাড়ি শিলিগুড়ি জংশন ডিএমিইউ ও প্রায় কয়েক ঘণ্টা দেরিতে চলে।চূড়ান্ত ভোগান্তি শিকার হতে হয় যাত্রীদের। যদিও উত্তর পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারীক সব্যসাচী দে জানান- দেড় থেকে দু ঘন্টা বিলম্ব হয়েছে ট্রেনগুলি। ওই লাইনের মোট আটটি ট্রেন দেরীতে চলে।
আরও পড়ুন – বিজেপির গঙ্গা আরতিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাবুঘাট
পাশাপাশি বেপরোয়া ট্রাকটিকে আটক করা হলেও চালক পলাতক। নিয়ন্ত্রণ হীন ভাবে গাড়ি চালানো ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। চালক ও মালিকের খোঁজ চলছে। এদিকে ট্রেন লাইনে বিভ্রাটের জেরে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত রাস্তা আটকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যাতে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হয় আমজনতা। গাড়ির দীর্ঘ লাইন দাড়িয়ে যায় রেল গেট সংলগ্ন এলাকায়।