প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড় সড় গাফিলতি,কর্নাটকের হুব্বালিতে রোড শো চলাকালীন লঙ্ঘিত হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি), কর্নাটকের হুব্বালিতে এক রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময়ই এক যুবক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার আচ্ছাদন ভেঙে এগিয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর দিকে। যুবকের হাতে ছিল একটি ফুলের মালা। মালা হাতে একেবারে প্রধানমন্ত্রীর একহাত দূরত্বের মধ্য়ে পৌঁছে যায় সে যুবক । তবে দ্রুতই তাকে টেনে সরিয়ে দেয় এসপিজির কম্যন্ডোরা।
আরোও পড়ুন- অসুস্থ হয়ে পড়লেন রাহুল দ্রাবিড়
প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ-স্তরীয় নিরাপত্তা থাকে। সবথেকে বাইরের স্তরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে রাজ্য পুলিশ। সম্ভবত সেই স্তরেই কোনও গাফিলতি ছিল। যদিও ঘটনার ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর রোডশো চলাকালীন হঠাতই জনতার ভিড় থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লক্ষ্য করে ছুটে আসে ওই কিশোর। প্রধানমন্ত্রীর একেবারে ধরা ছোঁওয়ার মধ্যে চলে আসে সে। প্রধানমন্ত্রীর সবথেকে ভিতরের নিরাপত্তা বলয়ে থাকেন স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের সদস্যরা। তাঁরাই ওই যুবককে আটকান এবং সেখান থেকে টেনে তাকে সরিয়ে দেন। তবে, তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর হাতে মালাটি তুলে দেয় সে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখা যায় মালাটি গাড়ির বনেটে রেখে দিতে ।
এদিন ২৯তম ন্যাশনাল ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করতে হুব্বালিতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দর থেকে অনুষ্ঠানস্থল, রেলওয়ে স্পোর্টস গ্রাউন্ড পর্যন্ত রাস্তায় রোড শো করেন মোদী। রাস্তার দুই ধারে ভিড় জমিয়েছিলেন উৎসাহী জনতা। গাড়ির সামনের দরজা খুলে, পাদানির উপর দাঁড়িয়ে জনগণের দিকে হাত নাড়ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই আচমকা জনতার মধ্য থেকে মালা হাতে ছুটে আসে ওই কিশোর। এর আগে ২০২২ সালে দুই বার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়েছিল। পঞ্জাবে নির্বাচনের ঠিক আগে ৫ জানুয়ারি ফিরোজপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী সে সময় সড়ক পথে যাওয়ার সময়, কৃষকদের বিক্ষোভ অবস্থানের জন্য এক ফ্লাইওভারের উপর অন্তত ২০ মিনিটের জন্য থামতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরকে। এরপর ৪ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশে হেলিকপ্টারে ভ্রমণের সময়, কংগ্রেস কর্মীদের ছাড়া কয়েকটি কালো গ্যাস বেলুন প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারের একেবারে কাছে এসে পড়েছিল। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও গাফিলতি নেই বলে দাবি করা হলেও, অভিযুক্ত কংগ্রেস কর্মীদের আটক করা হয়েছিল।