প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী গঙ্গা সাগর মেলায় এখনও পর্যন্ত ৩৯ লক্ষ তীর্থযাত্রীর আগমন। গতকাল রাত ৯টা থেকে আজ সকাল ৮’৫০ মিনিট পর্যন্ত অত্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকার জন্য জলপথে কোন লঞ্চ ও বার্জে পারাপার করা যায় নি বলে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে । এখনও পর্যন্ত পাওয়া প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী গঙ্গা সাগর মেলায় প্রায় ৩৯ লক্ষ তীর্থ যাত্রী পুন্য স্নানের উদ্দেশ্য উপস্থিত হয়েছেন ।
রেকর্ড সংখ্যক তীর্থ যাত্রীর আগমন ঘটতে পারে মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৪০ হাজার বর্গ মিটার জমি সাগরের জল থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পুনরুদ্ধার করা হয় এবং তীর্থ যাত্রীদের স্নানে যাতে বিঘ্ন না ঘটে , তার জন্য ১ নং রাস্তার বাম দিকে বীচ নং ১ এ এবং ৫ নং বীচের ডান দিকে বীচ নং ৬ নামে স্নানের জায়গা প্রসারিত করা হয় । তীর্থ যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে ২,২৫০ টি বাস , ৫ টি বার্জ , ৪৪ টি ভেসেল ও১২০ টি লঞ্চ ( যার মধ্যে ১০ টি ভেসেল ও ২০ টি লঞ্চ রিজার্ভ ছিল ) লাগাতার যাত্রী পরিবহন করে চলেছে । কলকাতার বাবুঘাট থেকে লট নম্বর ৮ পর্যন্ত যাত্রা পথে ১১ টি বাফার জোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন – প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সদর দফতরেই বড়সড় কেলেঙ্কারি ফাঁস!
প্রায় ১২ হাজার স্থায়ী ও অস্থায়ী শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে । ৭ টি কঠিন বর্জ্য পরিচালন ইউনিট , ১৮ টি ই – কার্ট , সাগর তীর পরিচ্ছন্ন রাখা এবং বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য ৪,৯৮০ জন সাফাই কর্মীকে নিযুক্ত করা হয়েছে । ১১০০ টি সিসিটিভি ,২২ টি ড্রোন , ১০ টি স্যাটেলাইট ফোন ও ১৩৮ টি ম্যান প্যাকের মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার বিভিন্ন স্থানের ওপর প্রতিনিয়ত সতর্ক নজরদারী রাখা হচ্ছে । ৩ হাজার জন সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবক ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের ১২০ জন জল প্রহরী সজাগ রয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয় ।