বিয়েটাও মেয়েদের কাছে চাকরি, কেন জানেন? বিয়েটা আইনের চোখে একটি সামাজিক চুক্তি বা এগ্রিমেন্ট। যেকোন চাকরির ক্ষেত্রেও এই চুক্তি করতে হয়। তাই মেয়েরা বিয়ে করতে চায়, মানে একটা চাকরি। চায় একটা সুবিধাজনক চাকরি! এবার দেখে নেওয়া যাক এই চাকুরির সুবিধা গুলি কি কি :
১) অন্যান্য চাকরির মত এখানে নিজের যোগ্যতার প্রামান দিয়ে চাকরি পেতে হয় না বরং উল্টে চাকরির দরখাস্তে মালিকের যোগ্যতারই ফিরিস্তি নেওয়া হয়।
২) এই চাকরিতে বেতন, ডি এ, টি এ নেই ! বদলে আছে মালিকের, তার বাপের, দাদুর, ১৪ পুরুষের সব সম্পত্তির ওপর সমান অধিকার । নিজের ভেবে যেটা খুশি নিয়ে নিলেই হল।
৩) এই চাকরিতে ছুটি বলে কিছু হয় না। কারন ছুটির সংখ্যা নির্দিষ্ট ! কিন্তু এই চাকরিতে কাজ করাটাই কর্মীর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল ! কিছু না করলেও আইনত কোনো সমস্য নেই!
৪) সব চাকরিতেই বস কর্মীদের কাজে ভুল হলে তাকে বকতে পারে ! এই চাকরিতে কর্মীই উলটে বসকে বকাঝকা করে, মারধর, অত্যাচারের অধিকার রাখে ! উলটো হলেই মালিকের পরিবার সহ সবাই কে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অধিকার একমাত্র কর্মীর থাকে। নাশনাল ক্রাইম রিপোর্ট অনুসারে ৮০ শতাংশের ঊর্ধ্বে আইন সব নারীকেন্দ্রিক। এই আইনের অপব্যাবহার করা হয় মেয়েদের পক্ষ থেকে ।
৫) এক চাকরি করতে করতে অন্য চাকরি করা যায় না। কিন্তু এই চাকরিতে সেই সমস্যা নেই ! একই সাথে একাধিক চাকরি (পরকিয়া) চালালেও মালিক বেতন দিতে বাধ্য !
৬) চাকরি ছেড়ে দিলে আর সেই অফিসে বেতন পাওয়া যায় না ! কিন্তু এই চাকরি ছাড়লেও ছাড়ার সময়েই বাকি সারা জীবনের বেতন মালিকের কাছ থেকে ‘খোরপোশ’ নামে পুরো বেতন, ক্ষতিপূরণ ও মাসে মাসে মাইনে অর্থাৎ খোরপোশ পাওয়া যায়।
৭) চাকরিতে বোনাস কোম্পানি লাভ করলে দেয়, কোনো অকেশনে দেওয়া হয়। এই চাকরিতে সে অসুবিধা নেই। এখানে বোনাস “অন্যে পেয়েছে মানেই আমার লাগবে” বা “ইচ্ছা করছে দিতে হবে’ লজিকে পাওয়া যায়৷ বোনাস হিসাবে মাঝে মাঝেই মার্কেটিং বা অপ্রোজনীয় কেনিকাটার জন্য মোটা টাকা দিতে হবে।
আরও পড়ুন – গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি
৮) সব চাকরিতেই একসময় অবসর নিতে হয়, এই চাকরিতে একবার ঢুকলেই সারাজীবনের জন্য সব ফ্রি ফ্রি আর ফ্রি হয়ে যায় ! এত সুবিধা থাকায় ফেসবুকে ‘বিয়ে কিন্তু খারাপ’ হ্যাজ নামান এমপ্লয়িটিই নিজেই আর আগে দৌড়ান এই চাকরি করতে। না পেলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন ! মালিককে উঠতে বসতে গালমন্দ করেন ঠিকই কিন্তু চাকরি ছাড়ার নাম গন্ধ করেন না ।
বিঃদ্রঃ- যেসব মহিলা বিয়ে করেন একসাথে থাকা, সংসার করার জন্যে তাদের জন্য এই কথাগুলি নয়- তাই সব মহিলা কথা গুলি গায়ে মাখবেন না…
যারা বিয়েটাকে ‘চাকরি ভাবেন তারা যে কত বড় অপদার্থ, সুবিধাবাদী কর্মী সেটা বোঝানোর জন্যেই লিখলাম ! এটা কোন নারীবাদী প্রসূত লেখা নয়। এটি একটি রম্য রচনা। ছেলেদের তথা পুরুষদের নিয়েও এরকম লেখা যেতে পারে।