ব্যারাকপুরের একাধিক বিধায়ক ও মন্ত্রী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতঃ শুভেন্দু। ব্যারাকপুরে শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়ক বিভিন্ন দুর্নীতি সঙ্গে জড়িত। এদিন শ্যামনগর ফিডার রোডে ইএসআই ময়দানে পঞ্চায়েত কর্মী সন্মেলনে এসে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃনমূলকে নিশানা করে আরও বলেন,শুধু হালিশহরের পুরপ্রধানই নয়।
এখানকার একাধিক বিধায়ক ও মন্ত্রী বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি তারা ভোট পরবর্তী হিংসা ও সন্ত্রাসের সঙ্গেও জড়িত। এঁরা কেউই ছাড়া পাবে না। সুদে-আসলে এদের হিসাব নেওয়া হবে। “দিদির সুরক্ষা কবচ” কর্মসূচিতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী থেকে সাংসদদের।
এদিন দিদির দূত নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, দিদির দূত নয়,সব ভূত। গ্রামের মানুষজন দিদির দূঁতদের তুলোধুনো করছেন। দত্তপুকুরে চাল চোর মন্ত্রীর সামনেই অভিযোগকারী এক যুবককে সপাটে থাপ্পর মেরেছে শাসকদলের গুন্ডারা। তার প্রশ্ন,চোর পার্টির সৃষ্টিকর্ত্রী মহারানীর কি হবে ? কিছুদিন অপেক্ষা করুন বিশ্ব বাংলা কর্পোরেশনের যা কারচুপি আছে সেগুলো সব আপনাদের সামনে আনব। ডাইরেক্টরদের নামও প্রকাশ্যে আনব। তার প্রশ্ন,গত তিন-চার বছর যাদের টেন্ডার ছাড়া রিটেলে ব্যাবসা করার কথা,তারা কি ভাবে টেন্ডার সহ ব্যাবসা করছে,সব প্রকাশ্যে আনব।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মাটিতে দাঁড়িয়ে শিল্পেরই দুর্দশা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা। তার দাবি,এখানকার শিল্পকে লাল ঝান্ডাধারি নেতারা অর্ধেক ফাঁকা করে দিয়ে গিয়েছেন। আর যেটুকু অবশিষ্ট ছিল,তা ২০১১ সালে দিদিমনি ক্ষমতায় আসার পর ফাঁকা করে দিয়েছেন। ভদ্রেশ্বর জুটমিল,চন্দননগর গোন্দলপাড়া জুটমিল, নৈহাটি জুটমিল,ডানকুনি বিস্কুট কারখানা সহ প্রচুর কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে শিল্প মানে চপ বানাও, শিল্প মানে কাশ ফুলের বালিশ বানাও, শিল্প মানে কচুরিপানার থালা,বাটি ও গ্লাস বানাও।
আরও পড়ুন – গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি
এদিন সন্মেলনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, রাজ্য থেকে তোলামুল দলকে হটাতে গেলে ওদের পঞ্চায়েত নির্বাচনেই সাফ করতে হবে। আর ২০২৪ সালে মোদী ঝড়ে এরাজ্যে ৪০০ অতিক্রম করে যাবে। এদিনের সন্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ ব্যানার্জি,রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, জেলার পঞ্চায়েত কনভেনর কিশোর কর,মোহিলা মোর্চার সভাপতি পিয়ালী দুবে সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।