ত্রিপুরায় কঠিন লড়াইয়ের মুখে বিজেপি। এবার ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি শুধুমাত্র বাম-কংগ্রেস জোটের মুখোমুখি হবে না, উপজাতি এলাকায় তাদেরকে মুখোমুখি হতে হবে প্রদ্যোৎ মানিক্য দেববর্মনের তিপ্রা মোথারও। যে ইন্ডিজেনায় ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা অর্থাৎ আইপিএফটিকে সঙ্গে করে বিজেপি ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা ইতিমধ্যেই তিপ্রামোথার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
আইপিএফটি প্রধান জানিয়েছেন, তারা বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকবেন কিনা তা নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রদ্যোৎ মানিক্য দেববর্মন ইতিমধ্যেই তিপ্রাল্যান্ডকে প্রধান নির্বাচনী ইস্যু করেছেন। তিনি বলেছেন, তাদের আলাদা রাজ্যের দাবিকে লিখিতভাবে সমর্থন করলে শুধু বিজেপি কেন, তারা বাম-কংগ্রেসের জোটেও সামিল হতে পারেন।
তৃণমূল এব্যাপারে সব থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল শনিবার রাতে গুয়াহাটিতে তিপ্রা মোথার সঙ্গে আইপিএফটির সংযুক্তিকরণ নিয়ে আলোচনা। দুদলের তরফেই এই আলোচনার কথা স্বীকার করে নিয়ে হয়েছে। জানা গিয়েছে, সংযুক্তিকরণ হলে দলের পতাকা এবং প্রতীক কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে ত্রিপুরা বিধানসভায় ৬০ টি আসনের মধ্যে ২০ টি আসন উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত।
আরও পড়ুন – ভারত জোড়ো অভিযানের পরে এবার হাত সে হাত জোড়ো অভিযান
এই ২০ টি ছাড়াও আরও ৫-৭ টি আসনে তিপ্রা মোথার কিংবা আইপিএফটির প্রভাব রয়েছে। এই আলোচনার আগে তিপ্রা মোথা জানিয়েছিল তারা ৬০ টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। যদি এই দুদলের সংযুক্তিকরণ হয় কিংবা কোনও জোট হয়, তাহলে ২০১৮-র মতো নির্বাচনের আগে বিজেপির কোনও জোটসঙ্গী এবার থাকবে না।জানিয়েছে, তারা বাম-কংগ্রেসের জোটে সামিল হবে না। অন্যদিকে আলাদা তিপ্রাল্যান্ডেরও বিরুদ্ধে তারা। ত্রিপুরায় কঠিন