আচার্য শিক্ষার্থী মিলন উৎসবএর আয়োজন নারায়ণগড় ব্লকের শশিন্দা সাগর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রাক্তনীদের চাঁদের হাটে অনুষ্ঠিত হলো আচার্য শিক্ষার্থী মিলন উৎসব।আচার্য শিক্ষার্থী মিলন উৎসব অনুষ্ঠিত হলো শশিন্দা সাগর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় ব্লকের শশিন্দা সাগর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮৫ এবং ১৯৮৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীসহ বেশ কিছু প্রাক্তনীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এই মিলন উৎসব। সম্প্রতি উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হলো এই আচার্য শিক্ষার্থী মিলন উৎসব।
এদিন সকাল থেকেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত প্রাক্তনীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল নজরে পড়ার মতো। এই দিনের অনুষ্ঠানে সেই সময়ের কুড়ি জন শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পাশাপাশি প্রয়াত শিক্ষকদের পরিবারকে সম্মানিত করা হয়। দুই শিক্ষাবর্ষের পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী এই উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। বিদ্যালযয়ের সভাকক্ষে আচার্য মন্ডলীকে স্মারক ও কাশ্মীরিশাল ও নানা উপহার দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় তৎকালীন শিক্ষার্থীদের পরিচয় পর্ব।
ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপস্থিত হওয়া শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিচয় তুলে ধরেন এবং তৎকালীন আচার্য মন্ডলীকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পেরে তাঁরা সম্মানিত বোধ করেন। এরপর চলে আচার্য মন্ডলীর স্মৃতিচারণ। শিক্ষার্থীদের নানা পরামর্শ উপদেশ দেন। আনন্দে বিহ্বল য়ে পড়েন কেউ কেউ, কারুর চোখে নামে আনন্দাশ্রু।প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কেউ গান পরিবেশন করেন, কেউ কবিতা পাঠ করেন, কেউবা আবৃত্তি পরিবেশনে এই মিলন উৎসবকে স্মরণীয় করে তোলেন। এই মিলন উৎসবকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের লেখায় সমৃদ্ধ স্মারক সংখ্যা ‘পিছুটান’ প্রকাশিত হয়।দীর্ঘ সাইত্রিশ বছর পর এই মিলন দৃশ্য ছিল সত্যিই অপূর্ব।
আরও পড়ুন – মধ্যপ্রদেশে পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির বড় জয়
কেউ কেউ এই উৎসবকে অভূতপূর্ব আখ্যাও দেন। দিনের শেষে বিদায় পর্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পা ছুঁয়ে প্রণাম, বুকে টেনে নেওয়ার দৃশ্যও দেখা যায়। বর্তমান প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর তেওয়ারি এই উৎসবকে সার্বিক রূপ দানের অর্থাৎ স্থায়ী “প্রাক্তনী” গঠনের প্রস্তাব দেন। পরিকল্পনা হয় এই উৎসব ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করার। কৈশোরের মায়া বাস্তব ছবি ফুটে ওঠে সবার স্মৃতি চারণায় । ক্যামেরায় নানা রঙিন মুহূর্ত ধরা পড়ে। এভাবেই বারবার শিক্ষার্থীরা ফিরে পেতে চান তাদের কৈশোর দিন।