লম্বা-লম্বা লাফে মাঝ নদীতে বিরাট কুমিরকে বোকা বানাল ছোট্ট একটা হরিণ, একটি নিরীহ, শান্ত হরিণ যে বিশালাকার কুমিরকে নাকানিচোবানি খাইয়ে ছাড়বে, ভেবেছিলেন? তেমনটাই কিন্তু ধরা পড়েছে সদ্য ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো থেকে। বিশ্বাস না হলে নিজের চোখেই একবার দেখে নিন। বন্যপ্রাণীদের আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন? কিছু-কিছু প্রাণীকে দেখে আপনি আঁতকেও উঠেছেন। কিন্তু বন্য প্রাণীদের যাপন বোধহয় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বা ডিসকভারি ছাড়া সচক্ষে আপনার দেখা হয়নি। যদি কখনও দেখেন বা দেখার সৌভাগ্য হয়, তাহলে বুঝবেন, প্রতিটা মুহূর্ত কত রোমাঞ্চকর হয় তাঁদের জন্য। প্রতিটা মুহূর্তে কত সংঘর্ষ করে বেঁচে থাকতে হয় তাঁদের। চোখের সামনে যদি বন্যজীবন দেখতে পান কখনও, তাহলে আপনার মনে পড়ে যাবে, ছোটবেলায় পাঠ্যবইতে পড়া খাদ্য-খাদক সম্পর্কের সাইকেলটা।
এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজকাল আমরা ওয়াইল্ড লাইফের এমন অনেক ভিডিয়ো দেখে থাকি। দেখি, কীভাবে এক নিরীহ প্রাণীকে গ্রাস করছে জঙ্গলের অতি শক্তিশালী কোনও প্রাণী। কখনও আবার দেখি, মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে কী তীব্র লড়াই করে বেঁচে আসে কোনও এক প্রাণী। জীবনজুয়ায় কে বাঁচবে আর কে মরবে তা সম্পূর্ণভাবে ভাগ্যের খেলা হলেও বন্যপ্রাণীদের এই লড়াই আমাদের নজর কাড়ে।
তা বলে কখনও একটি নিরীহ, শান্ত হরিণ যে বিশালাকার কুমিরকে নাকানিচোবানি খাইয়ে ছাড়বে, ভেবেছিলেন? আপনি কেন কেউই ভাবতে পারেন না। কিন্তু আমরা এক সৌভাগ্যবান হরিণের সন্ধান পেয়েছি, যে মৃত্যুকে একপ্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঘোল খাইয়ে ছাড়ল একটি কুমিরকে। লাফ যে কোন সময় কতটা বড় হলে জীবন পর্যন্ত বাঁচাতে পারে, এই ভিডিয়ো তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু বিপদ তো আর বলে-কয়ে আসে না! এই হরিণের ক্ষেত্রেও সেই ‘বিনবুলায়ে মেহমান’ হিসেবে হাজির হল ভয়ঙ্কর এক বিপদ। হরিণের পিছু-পিছু ধাওয়া করতে থাকে বিরাট আকারের একটি কুমির। বিপদ যে এভাবে ওঁত পেতে বসে থাকতে পারে, ঘূণাক্ষরেও টের পায়নি প্রাণীটি। হরিণটি যত জোরে ছুটতে থাকে, ততই দ্রুত সাঁতার কাটতে থাকে কুমিরটিও। তারপর সুযোগ বুঝেই খপাত করে পিছন থেকে হরিণটির ঘাড় ধরার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন – মিলবে মোটা টাকার বেতন ,মাধ্যমিক পাশেই শতাধিক পদে কর্মী নিয়োগ করছে কলকাতা…
ব্যর্থ হয়। কঠিন চেষ্টা করেও হরিণটিকে ছুঁতে পারেনি ও কুমির। হরিণের ছটফটানিই শেষমেশ তাকে কুমিরটির কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করে। তারপর বেঁচে থাকার স্বাদ পেতেই জলের মধ্যে লাফ আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তড়িঘড়ি ডাঙায় ওঠে হরিণটি। টুইটারে ক্লিমেন্ট বেন আইএফএস নামক একটি পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। মাত্র 1 মিনিট 10 সেকেন্ডের এই ছোট্ট ভিডিয়োর প্রভাব সত্যিই অবাক করার মতো।