বাগদেবীর আরাধনা কে ঘিরে জোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে দিনহাটায়। মৃৎশিল্পীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও তৎপরতা শুরু হয়েছে। মাঝে দুই বছর করোনার জন্য সেভাবে পুজো হয়নি। বিভিন্ন স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নমন করে পুজো হলেও এ বছর সংক্রমণ কমে আসতেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মৃৎশিল্পীদের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। হাতের সেভাবে আর সময় নেই।আর দশ দিন, করোণা সংক্রমণ কমে আসায় মৃৎশিল্পীরাও অনেক আশা নিয়ে প্রতিমা গড়ছেন।
দিনহাটা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে শীতলাবাড়ি, বড়নাচিনা, গোসানি রোড, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি মৃৎ শিল্পালয় রয়েছে। গত দু’বছর করোনার জন্য পুজো কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততাও ছিল অনেকটা কম। এ বছর সংক্রমণ কমে আসায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন মিৎশিল্পীরা। হাতে সময় কম তাই মৃৎশিল্পীদের ঘরে ঘরে সরস্বতী প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে জোড় কদমে। গত দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ থাকায় অনেক কম সংখ্যক পুজো হয়েছে। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে মৃৎ শিল্পীদের। এবছর মিৎশিল্পীরা অনেকেই বেশি সংখ্যক মূর্তি তৈরি করছেন।
দিনহাটা হাই স্কুলের শিক্ষক জয়ন্ত চক্রবর্তী, দিনহাটার নিগমানন্দ সারস্বত্ত হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনির্বাণ নাগ, ওকড়াবাড়ি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ দেব জানান, করোনার জন্য গত দু’বছর সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে নমনম করে পুজো করতে হয়েছে। এবছর সংক্রমণ কমে আসায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ধুমধাম করে পুজো হবে। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
দিনহাটা হাই স্কুলের এক ছাত্র জানান, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় এ বছর স্কুলে ধুমধাম করে পুজো হবে। পুজোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। গত দুই বছর পুজো হলেও কোনো রকম অনুষ্ঠান না হয় এবছর পুজোর দিন স্কুলে গিয়ে সকলের সাথে আনন্দ করতে পারব।
আরও পড়ুন – গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি
দিনহাটার মৃৎশিল্পীদের প্রদীপ পাল, বঙ্কিম পাল, বাবু পাল প্রমুখ জানান,প্রায় দুই বছর করোনা আবহে সব অনুষ্ঠান বাধাপ্রাপ্ত হয়। সরস্বতী পুজোর বেশি দেরি নেই।বেশ কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই মূর্তির বরাত দিয়ে গিয়েছে। তবে এ বছর করোনা সংক্রমনের প্রভাব না থাকায় বেশি সংখ্যায় পুজো হবে। তাই গত দুই বছর যে পরিমাণ মূর্তি তৈরি করেছি এবছর কিছুটা বেশি সংখ্যায় মূর্তি তৈরি করছি। সেই কাজে মহিলারা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে।