এবার দুর্গাপুজোয় উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আর এবার যা নিয়ে কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বলেন, ‘যারা একসময় বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে আক্রমণ করে বলেছিল, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, তারাই আজকে বাংলায় দুর্গাপুজো উদ্বোধন করতে আসছে, এটাই বাংলার দুর্গাপুজোর জয়।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিকমহলের একাংশে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক কাকে বা কাদের উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?
আরও পড়ুনঃ ভার্চুয়ালী পুজো উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর, জানালেন পায়ের খবরও
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলার দুর্গাপুজো নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাকে। ২০১৯ সালে রাজ্যে এসে অমিত শাহ প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘বাংলায় দুর্গাপুজো হবে না তো কি পাকিস্তানে হবে?’ এক সভায় উপস্থিত হয়ে অমিত শাহ আরও বলেছিলেন, ‘বাংলায় বাংলা ভাষাই পড়তে হলে, দুর্গাপুজো করতে হলে বিজেপিকেই ভোট দিতে হবে।’
আর এবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করতে সেই অমিত শাহই রাজ্যে আসছেন। আগামী ১৬ তারিখ সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধন করবেন তিনি। সেক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে অমিত শাহকেই নিশানা করলেনবলে মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ থেকে।
তবে শুধু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নয়, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেত্বকেও। এই বছর মহালয়ার আগেই ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জালি হিন্দু’ বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘এরা জালি হিন্দু, পিতৃপক্ষে কোনও শুভ কাজ হয় না, এই মানুষ সময় পিতৃপুরুষের জন্য পিণ্ড দান করতে গয়ায় যান। সনাতন ধর্ম, পঞ্জিকা, শাস্ত্রকে ধ্বংস করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এটাকে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত করছেন। মদ খাও, ডিস্কো নাচ করো, যা খুশি করো, কিন্তু পুজো করার দরকার নেই। আরতি, পুষ্পাঞ্জলি, পঞ্জিকা, শাস্ত্র এসব কোনওকিছুই মানার দরকার নেই। একশ্রেণির জালি হিন্দু আর তথাকথিত সেকু আর মাকুদের জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাহসটা দেখাতে পারছেন।’ প্রসঙ্গত, মহালয়ার দিন দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বড় দুর্গাপুজো নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।