রেশন দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রেফতার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। প্রায় ২০ ঘণ্টা একটানা তল্লাশির পর গ্রেফতার মন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর গ্রেফতারিতে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য। মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর প্রচারের আলোয় শান্তিনিকেতনের এক বাড়ি। বিভিন্ন সূত্রে দাবি, ‘দোতারা’ নামক বাড়িটি ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার ইডি-এর হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেসের আরও এক মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেলে হত্যার আশঙ্কা প্রকাশ দিলীপ ঘোষের
শুক্রবার সকালে মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর থেকে দোতারা নিয়ে এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল দেখা দেয়। বাড়ির সামনে সকাল থেকেই জটলা।মোড়ের চায়ের দোকানেও ভিড় জমালেন অনেকে। নজর দোতারার দিকে। অতি উৎসাহীরা আবার বাড়ির সামনে এসে ভিতরে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার চেষ্টাও করেন। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পরই তাঁর সম্পত্তি, তাঁর টাকা-পয়সা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই সূত্রেই আলোচনায় শান্তিনিকেতনের এই বাড়ি।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘অপা’-এর মতোই বিলাসবহুল এই দোতারা বাংলো। দাবি, এই বাংলোর মালিক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শান্তিনিকেতনের বুকে এই দোতারা বাড়ি দেখলে চোখ ফেরানো কার্যত অসম্ভব। তবে অন্দরমহলে কী রয়েছে জানেন না কেউই। সূত্রের খবর, আনুমানিক দেড় কোটি টাকা দিয়ে এই বাড়ি কিনেছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায় প্রায় ৮৫ লাখ টাকা খরচ করে বাড়ির খোলনলচে বদলিয়েছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। জমি-বাড়ির কারবারীদের মতে, এই বাড়ির বাজার মূল্য আনুমানিক ছ কোটি টাকা।
স্থানীয়দের দাবি, এই বাড়িতে যাতায়াত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের। তবে মন্ত্রীকে কখনও এ বাড়িতে দেখা যায়নি বলেই দাবি স্থানীয়দের। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও এলাকায় ‘দোতারা’ পরিচিত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামেই। বাড়িটির দেখভালের জন্য কেয়ারটেকার থাকলেও এদিন ডাকাডাকি সত্ত্বেও কেউ সাড়া দেননি। এমনকী সকাল থেকে কাউকে বাড়ির বাইরে আসতেও দেখা যায়নি।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ১টা ৩৫ নাগাদ অ্যারেস্ট মেমোয় সই করানো হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। রাত তিনটের কিছু পরে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় ইডি দফতরে। পরে সকাল সাড়ে আটটার কিছু পরে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষায়। পরে তোলা হবে আদালতে।