বড়দিনের পরই শীতের জোরালো কামড় শিলিগুড়িতে। কুয়াশার চাঁদরে মুড়লো শহর শিলিগুড়ি। বড়দিনের পরই শীতের জোরালো কামড় শিলিগুড়িতে। কুয়াশার চাঁদরে মুড়লো শহর শিলিগুড়ি। কুয়াশার জেরে বিমান পরিষেবা ব্যাহত। সকাল থেকে পাঁচ উড়ান বাতিল। ক্যালেন্ডার বদলে সময় চলে এলেও শীতের দেখা মিলছিল না এবারে উত্তরবঙ্গে। অবশেষে বড়দিন সোমবার রাত থেকেই কুয়াশার চাদরে মোড়ে শহর। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শিলিগুড়ি শহর ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।
এবারে ডিসেম্বরে শেষ হতে চললেও শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রার পারদ বেশ চাঙ্গা। ভরা অগ্রায়ণেও রীতিমতো রোদের প্রখরতায় গা ঘেমে ওঠার উপক্রম দেখা যায়। আর রাত হলে কিছুটা কম ছিল তাপমাত্রা। ফলে শীতকালে এমন আবহাওয়া খানীক ব্যতিক্রমি বলেই দাবি আম সাধারণ থেকে আবহাওয়াবিদেরাও। অবশেষে মঙ্গলবার পাকাপাকিভাবে উত্তরে জাকিয়ে বসলো শীত।
এদিন কুয়াশার চাদরে মরেছিল শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলা। দুপুর বাড়তে শিলিগুড়ি শহরে কিছুটা রোদের ঝলক চোখে পড়ে। শিলিগুড়ি শহরের এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ডিগ্রি। যাতে সকাল থেকে কুয়াশার জন্য আকাশের কারণে দৃশ্যমানতার অভাবে বাতিল হয় পরপর পাচঁটি উড়ান। শিলিগুড়ি বাগডোগরা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর মহম্মদ আরিফ জানান- দৃশ্যমানতার জেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই এদের বিমান বাতিল করা হয়।
আরও পড়ুন – মিঠুনের সেটে খাবার দিতেন বাবা, এখন আমি তাঁর সিনেমার প্রযোজক : দেব
পাচঁটি বিমান বাতিল হয়েছে। এবং আটটি বিমান ঘুরপথে আকাশে ট্রাফিক রুটের বদল করা হয়েছে। ৬০০ মিটার দৃশ্যমানতার প্রয়োজন বিমান চলাচলে। এদিন সকাল থেকে দৃশ্যমানতা কম থাকায় বিমান চলাচল সম্ভব হয়নি। ডিরেক্টর জানেন ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ দিল্লী, ডিব্রুগড় ও পারো -এর পাচঁটি বিমান বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মোট আটটি আটটি উড়ান বাতিল হয়েছে এদিন। এদিন দুপুর দুটোর পর কুয়াশা চাদর সরে গিয়ে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার পর বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল শুরু হয়। তবে সকালে সমস্ত পুরান গুলি বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়।