মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ স্পেনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Spain tour of Mamata Banerjee)। আর তার ঠিক পরেই মানুষের সমস্যা দেখতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
বালিগঞ্জের ১২ নম্বর রোনাল্ড রোডে একটি বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বলে খবর তথা অভিযোগ যায় রাজ্যপালের কাছে। সেই খবর পেয়ে একেবারে সরজমিনে তা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান আনন্দ বোস। রাজ্যপালের গাড়ি কনভয় নিয়ে পৌঁছে যায় সেখানে। কেন গাছ কাটা হচ্ছে, কী ব্যাপারে, অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা, পরিবেশের কী হবে ইত্যাদি প্রভৃতি প্রশ্ন নিয়ে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে দেন।
আরও পড়ুনঃ “জি-২০ সামিট আয়োজিত সফল হয়েছে”, ভারতের প্রশংসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মুখে
রোনাল্ড রোডে দীর্ঘদিনের পুরনো একটি গাছ ছিল। অভিযোগ হল, প্রোমোটিংয়ের জন্য সেই গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। রাজ্যপাল সেখানে জানিয়েছেন, ওই গাছটির স্মরণে রাজভবনে একটি গাছের চারা রোপন করবেন তিনি।এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ‘কথায় বলে নেই কাজ তো খই ভাজ। রাজ্যপালের অখণ্ড অবসর। উনি এতদিন আমলা ছিলেন। সক্রিয় ছিলেন। রাজভবনে হয়তো তাঁর মন টিকছে না। তাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে কোনও আপত্তি নেই’।
তাপস রায়ের কথায়, ‘উনি ফুল ফল লতা পাতা নিয়ে থাকুন। পরিবেশের কথা ভাবুন, গাছ লাগান, বন মহোত্সব করুন। তাতে বাংলার মানুষের সত্যিই উপকার হবে। শুধু ওনাকে অনুরোধ, দিল্লির রাজনৈতিক প্রভুদের নির্দেশে বাংলায় রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নিয়ে যেন না ঘোরেন। অযথা সরকারকে যেন বিব্রত না করেন।’
রাজ্যপাল আনন্দ বোসের সঙ্গে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে উপাচার্য নিয়োগের প্রশ্নে সংঘাত চলছে রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকার অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে যাঁদের মনোনীত করছে, তাঁদের পছন্দ নয় রাজ্যপালের। আবার রাজ্যপাল যাঁদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য করে বসাচ্ছেন তাঁরা সবাই আরএসএসের অনুগামী বলে পাল্টা অভিযোগ শাসক দলের। এই সংঘাতের আবহে আপাতত ইতি টেনেছেন রাজ্যপালই। তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে যাচ্ছেন, তাই এখন টেনশন দিতে চান না। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন রাজ্যপাল। সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী আবার জানিয়েছেন, তাঁর বিদেশ সফর নিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। নেতিবাচক কিছু নেই চিঠিতে।