শান্তি ফিরতে চলেছে মণিপুরে?শান্তির বার্তা কুকিদের,তুলে নেওয়া হল জাতীয় সড়ক অবরোধ।এবার মণিপুরে শান্তির জন্য বার্তা দিল কুকি যো উপজাতির লোকজন।গত দুমাস ধরে কাংগুই এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল উপজাতির লোকজন।এবার সেই অবরোধ তুলে নেওয়া হল।সেই রাজ্যে শান্তি ফেরানোর জন্য কুকিদের কাছেও আবেদন করেছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং।কুকি নেতাদের ফোন করে‘সব কিছু ভুলে এবং ক্ষমা করে আবার নতুন করে একসঙ্গে বাস করার’আবেদন জানিয়ে ফোন করেছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।তারপরেই অবরোধ তুলে নেওয়া হল।
কুকি সংগঠনের তরফে জানানো হয় সেখানে যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস,ওষুধের আকাল দেখা না দেয় সেইজন্য ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে সেখানে শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠা করা এবং সাম্প্রদায়িক ঐক্য বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে ওই অবরোধ তোলা হয়।যদিও তাদের দাবি,কোন কুকিনেতাকে ফোন করেননি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।কুকিদের তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাতে তাঁর ওপর আস্থা রাখছেন তাঁরা।এর আগে, কুকিদের প্রতিনিধিরা দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে।ওই এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করার দাবি জানান তাঁরা। ওই সমস্ত এলাকায় নিরাপত্তাবৃদ্ধি করা হয়েছে।কুকি যো সংগঠনের তরফে সেখানে শান্তিকামী সংগঠন এবং নাগরিকদের কাছেও একই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে আসার আবেদন করেছেন ।
রবিবারই একটি বৈঠকে বসে United Peoples’ Front (UPF) এবং Kuki National Organisation (KNO)।বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,গ্রামের প্রধান,যুবনেতা এবং মহিলা নেত্রীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরেই জাতীয় সড়কে অবরোধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।প্রসঙ্গত,গত ৩মে থেকেই মেইটি এবং কুকিদের জাতি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় মণিপুর।এর সংঘর্ষে মারা গিয়েছে প্রায় ১৪৫ জন।রবিবারও বিষ্ণুপুর জেলার এলাকায় মারা গিয়েছেন তিনজন।প্রায় সাড়ে ৬হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে। প্রায় ৫০হাজার জন বাস করছেন ত্রাণ শিবিরে।সেখানে শান্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সবার কাছেই আবেদন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ,কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন – অনুব্রত গড়ে জনরোষের মুখে TMC নেত্রী , ফের জনসাধারণের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন…
সেখানে অশান্তি শুরুর পরেই কুকিরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে।ফলে সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস,ওষুধের সংকট দেখা দেয়।ওই অবরোধ তোলার জন্য আবেদন করা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে।