আসানসোলে কম্বল বিতরণকাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, তাঁর স্ত্রী চৈতালি এবং অন্য অভিযুক্তদের রক্ষাকবচ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

আসানসোলে কম্বল বিতরণকাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, তাঁর স্ত্রী চৈতালি এবং অন্য অভিযুক্তদের রক্ষাকবচ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। ১০ জুলাই স্থানীয় থানায় তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে তাঁদের। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বহাল থাকবে এই রক্ষাকবচ। এদিনের শুনানিতে, জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবী সওয়াল করেন, গত মার্চে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল পুলিশ। তিনি হাজিরাও দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে কিছুই জিজ্ঞাসা করেনি বলে জানান। রাজ্য সরকারের তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ২ সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

প্রসঙ্গত, গত ২৭ আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠান হয়। জিতেন্দ্রর স্ত্রী কাউন্সিলর চৈতালির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয় সেই অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অনুষ্ঠানের শেষে কয়েক জনের হাতে কম্বল তুলে দেন। তিনি নেমে যেতেই কম্বল নেওয়ার জন্য সাধারণের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে একাধিক জনের মৃত্যু হয়। এরপরই মৃতদের পরিবারের এক সদস্য জিতেন্দ্র ও চৈতালির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। একাধিকবার পুলিশ গিয়ে চৈতালি ও জিতেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বাড়িতে গিয়েও চলে জেরা।

 

 

 

 

 

গত ১৯ মার্চ আচমকাই নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে সানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। নিম্ন আদালতে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেন জিতেন্দ্র। কিছুদিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন জিতেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্ট তারপর তাঁদের রক্ষাকবচ দেন।

 

 

 

আরও পড়ুন –  অনুব্রত গড়ে জনরোষের মুখে TMC নেত্রী , ফের জনসাধারণের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন…

 

 

 

আগামী ১০ জুলাই সকাল ১১ টায় পূর্ব নির্ধারিত সময়ে জিতেন্দ্র এবং চৈতালিকে তদন্তকারী অফিসারের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ। পরবর্তী শুনানি ১৭ জুলাই।