হাইকোর্টে ‘তোলাবাজি’! আদালতের কর্মীকে গ্রেফতারের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের , গত এক বছর ধরে মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ সামনে এসেছে। ধরা পড়েছেন নেতা, মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আর এবার সেই অভিযোগ একেবারে হাইকোর্টের অন্দরে। যে আদালতে প্রতিনিয়ত ন্যয়বিচারের আশায় যান হাজার হাজার মানুষ, সেই হাইকোর্টের কর্মীর বিরুদ্ধেই উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় একের পর এক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর কাছেই অভিযোগ এল খোদ হাইকোর্টের কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ শুনে অবিলম্বে সেই কর্মীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মামলা শোনার পর হাইকোর্টের ডেপুটি শেরিফকে এজলাসে ডাকেন তিনি। এরপরই গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার অভিযোগ শুনে ডাকা হয় ওই কর্মীকে। তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তবে অভিযোগকারী টাকা দেওয়ার প্রমাণ পেশ করেন। অনলাইনে টাকা পাঠানোর নথিও দেখান।বিচারপতির নির্দেশে এদিন ডেপুটি শেরিফের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। রেজিস্ট্রার ভিজিলেন্স-এর কাছে ওই কর্মীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ, মঙ্গলবারই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
অভিযুক্তের নাম স্বপন জানা। তিনি হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের কারেন্ট রেকর্ড ডিপার্টমেন্টের কর্মী। এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তির অভিযোগ, স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি হবে বলে তাঁর কাছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। তাঁকে টাকা দিলে তবেই চাকরি হবে, এমনই নাকি বলেছেন স্বপন জানা।
আরও পড়ুন – পরিস্থিতি ‘অ্যাবনরমাল’ , প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির
শুধু তাই নয়, মামলা ফাইল করে যাতে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করা যায়, তার জন্য দু দফায় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। হরেকৃষ্ণ রণজিৎ নামে বেহালার বাসিন্দা ওই দৃষ্টিহীন ব্যক্তি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
( সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube)
