সারাদিনে বারেবারে চা খাওয়া অভ্যাস? চিনির পরিবর্তে গুড় মিশিয়েও খেতে পারেন, জেনে নিন গুড়ের উপকারিতা

সারাদিনে বারেবারে চা খাওয়া অভ্যাস? চিনির পরিবর্তে গুড় মিশিয়েও খেতে পারেন, জেনে নিন গুড়ের উপকারিতা

আপনার চায়ের নেশা প্রবল? সকালে, বিকালে তথা সারাদিন অন্তত পক্ষে দু-তিন কাপ চা না হলে চলে না? চা বানানোর সময় তাতে চিনি দিচ্ছেন? যানেন কতোটা ক্ষতি হচ্ছে আপনার? ভাবছেন তো চায়ে চিনি ছাড়া কী করে খাবেন? আর সমস্যা নেই। এবার থেকে চিনির পরিবর্তে গুড় দিন চায়ে।

আরও পড়ুনঃ কুণাল ঘোষের করা মামলায় আদালতে তিন সিপিআইএম নেতা

দিনে বার কয়েক চা খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কেউ কেউ মিষ্টি ছাড়া চা খেতেই পছন্দ করেন। আবার অনেকে চায়ে মিষ্টি না হলে খেতেই পারেন না। সেক্ষেত্রে চায়েও কিন্তু গুড় মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে!গবেষণা বলছে, গুড় অসংখ্য পুষ্টিগুণে ভরপুর। স্বাস্থ্যের নানা উপকার তো করেই, পাশাপাশি গুড়ের চা শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও খুব কার্যকর। তাই স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা রোজের ডায়েটে রাখতেই পারেন এই চা। আসুন জেনে নেওয়া যাক, গুড়ের চা কী ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং এটি তৈরির পদ্ধতি।

 

হজমে সাহায্য করে

গুড় খুব দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে। অনেকেই মনে করেন যে, গুড়ে থাকা চিনি শরীরে চর্বি জমায়। কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। বরং গুড় ভাল হজমে সাহায্য করে, মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

 

মেটাবলিজম বাড়ায়

মেটাবলিজম বা বিপাক এক ধরনের প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীর খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে। তাই খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের উপরই নির্ভর করে দেহের বিপাক প্রক্রিয়া কী রকম হবে। মেটাবলিজম ঠিক থাকলে ওজনও নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। গবেষণায় দেখা গেছে, গুড় পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, পেশী তৈরি এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। আর বিপাক ঠিক থাকলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন হয়, যার ফলে ওজন কমে।

 

অ্যানিমিয়ার জন্য উপকারী

শরীরে আয়রনের মাত্রা কম হলেই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দেখা দেয়। অ্যানিমিয়ার কারণে অনেকের ওজন বাড়তেও দেখা যায়। গবেষণা বলছে, গুড়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রোজ গুড় খেলে বা খাবারে গুড় মেশালে শরীরের আয়রনের ঘাটতি মেটে। তাই রক্তাল্পতা থেকে মুক্তি পেতে গুড় খেতেই পারেন।

তবে গুড় কেবল ওজন কমাতেই সাহায্য করে না। পাশাপাশি গুড়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং আরও অনেক ধরণের মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট। যে কারণে গুড় আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

 

উপকরণ

২ কাপ জল

২-৩ টেবিল চামচ গুড়

১ চা চামচ চা পাতা

এক টুকরো আদা (থেঁতো করা)

২-৩টি ছোটো এলাচ

এক টুকরো দারুচিনি

এক চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো

কয়েকটা তুলসী পাতা

 

তৈরির পদ্ধতি

সসপ্যানে পরিমাণমতো জল নিন। এতে থেঁতো করা আদা, এলাচ, তুলসী পাতা, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং দারুচিনি দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। জল ফুটতে শুরু করলে তাতে চা পাতা এবং গুড় দিয়ে দিন। আরও একটু ফুটিয়ে নিয়ে আঁচ নিভিয়ে দিন। তারপর কাপে ছেঁকে নিয়ে পান করুন গুড়ের চা।

পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে খুব উপকারী গুড়ের চা। সকালে খালি পেটে খেতে পারেন অথবা দুপুরের খাবারের আধা ঘণ্টা পরে পান করতে পারেন এই চা।

en.wikipedia.org