তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের করা মামলায় আদালতে সশরীরে হাজিরা দিলেন সিপিআইএমের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং দলীয় নেতা শতরূপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন সিপিআইএমের ওই তিন নেতা।
আরও পড়ুনঃ সেলিম-অধীরের গলায়ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিন অভিষেককে ইডির তলব, কটাক্ষের সুর অধীর-সেলিমের গলায়
উল্লেখ্য, সিপিএম নেতা শতরূপের ২২ লক্ষ টাকা দামের একটি গাড়ি কেনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল। কুণালকে জবাব দিতে সিপিএমের রাজ্য দফতরে বসে সাংবাদিক বৈঠক করে গাড়ি কেনার টাকার উৎস জানিয়েছিলেন শতরূপ। অভিযোগ, সেই সাংবাদিক বৈঠকেই কুণালের উদ্দেশে বেশ কিছু ‘তির্যক’ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। শতরূপের সেই মন্তব্য নিয়েই কুণাল আদালতে মানহানির মামলা করেছিলেন। কুণালের বক্তব্য ছিল, যে হেতু ওই সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে, দলীয় দফতরে, তাই তাতে সেলিম ও বিমানের ইন্ধন ছিল।
কুণাল এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরসঙ্গী হিসাবে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে রয়েছেন। সেখান থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘সিপিএমের ২২ লাখি কমরেড আমার বিরুদ্ধে কুরুচিকর আক্রমণ শানিয়েছিলেন। এটা সিপিএমের একটা স্টাইল। যখন যুক্তিতে পারেন না, তখন ব্যক্তিগত কুৎসা করেন। আর এই চার আনার নেতাকে মদত দিয়েছিলেন বিমান, সেলিমরা। আজ তিন জনকেই কোর্টে হাজিরা দিতে হয়েছে।’’
অন্য দিকে, এক সংবাদ মাধ্যমে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেন, ‘‘যাঁর মান নেই তাঁর আবার মানহানি কী? আমরা কখনওই বলিনি কোর্টে যাব না। যাঁরা গরু, কয়লা, চিটফান্ডের টাকা লুট করেছে, তারা এ সব এড়িয়ে যায়। তবে আজ কোর্টে গিয়ে দেখলাম, তবে আজ কোর্টে গিয়ে দেখলাম যিনি অভিযোগকারী তিনিও নেই, আবার তাঁর উকিলও বিষয়টা সম্পর্কে জানেন না। যে কারণে সেই আইনজীবীর প্রতি উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারক।’’ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারক।
তিন সিপিএম নেতাই আদালতে জানিয়েছেন, মামলার পরবর্তী যে তারিখগুলি পড়বে তাতে তাঁরা সশরীরে হাজির থাকতে পারবেন না। তখন যদিও আপত্তি জানান কুণালের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারক।