অনথিভুক্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত থেকে দূরে থাকতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে চারটি দরিদ্র দেশ থেকে সীমিত সংখ্যায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথও উন্মুক্ত করেছেন তিনি। দেশগুলো হলো-কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনিজুয়েলা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক ইস্যুতে এই সিদ্ধান্ত নেন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট। খবর এএফপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের।
দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে শিগগিরই নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করতে পারেন বাইডেন। আর সেটির আগে তিনি এমন একটি বিষয়ে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছেন যেটাতে তিনি অভিবাসনবিরোধী রিপাবলিকান এবং বৃহত্তর মানবাধিকারের পক্ষে থাকা বামপন্থি ডেমোক্র্যাট উভয়ের চাপের মুখোমুখি হয়েছেন। বাইডেন বলেছেন, তার নতুন পরিকল্পনার অধীনে টাইটেল ৪২ নামক বিতর্কিত আইনটি আরও প্রসারিত করা হবে যাতে সীমান্তরক্ষীরা স্থলপথে পৌঁছানো আরও বেশি অভিবাসীকে তাৎক্ষণিকভাবে ফিরিয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন – জেলার সমস্ত স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করার নির্দেশ
হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বক্তব্যে বাইডেন সতর্ক করে বলেন, ‘কেবল সীমান্তে এসে জড়ো হবেন না’। হোয়াইট হাউস আশা করছে, মানব পাচারকারীদের মাধ্যমে প্রায়শই বিপজ্জনক ভ্রমণের পরে সীমান্তে হাজির হওয়া রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীকে কঠোর এসব পদক্ষেপগুলো আটকাবে। অন্যদিকে বামপন্থি সমালোচকদের শান্ত করার জন্য বাইডেন বলেছেন, কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনিজুয়েলা থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার যোগ্য অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
বাইডেন বলেন, তাদের অবশ্যই নিজ দেশে আবেদন করতে হবে, একটি মার্কিন স্পনসর থাকতে হবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হবে। তিনি বলেন, ‘এটি নিরাপদ ও মানবিক এবং এটি কার্যকর।’ তবে তিনি আরও বলেন, সিস্টেমটি সম্পূর্ণরূপে ঠিক করার জন্য কংগ্রেসকে আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং সীমান্ত ও অভিবাসন অবকাঠামোর জন্য তহবিল বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য, অনথিভুক্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত থেকে দূরে থাকতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে চারটি দরিদ্র দেশ থেকে সীমিত সংখ্যায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথও উন্মুক্ত করেছেন তিনি। দেশগুলো হলো-কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনিজুয়েলা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক ইস্যুতে এই সিদ্ধান্ত নেন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট। খবর এএফপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের।