তৃণমূলকে বিদায় জানালেন বিনয় তামাং। পাহাড়ে পুরসভা নিয়ে জোর জল্পনার পরেও শেষরক্ষা হল না। দার্জিলিং পুরসভাতেও বোর্ড গড়লেন অনিত থাপারাই। এবার গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে দার্জিলিং মিউনিসিপ্যালিটি সবটাই ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার দখলে। জিটিএর মতোই ক্ষমতা হারিয়ে এখানেও প্রধান বিরোধীর আসনে বসল হামরো পার্টি। এরপরেই বড়োসড়ো ঘোষণা বিনয় তামাং এর, তিনি বিদায় জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।
জিটিএ নির্বাচনে অজয় এডওয়ার্ডরা হামরো পার্টির জয়ী প্রার্থীদের টাকা দিয়ে কিনে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। দার্জিলিং মিউনিসিপ্যালিটির ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ তোলে হামরো পার্টি। বোর্ড দখলে রাখতে মঙ্গলবারই অজয় এডওয়ার্ড তাঁর ‘গোর্খা স্বভিমান সংঘর্ষ’ মঞ্চে সামিল করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং ও তৃণমূলের বিনয় তামাংদেরও। এখানেই বিনয় তামাং জানিয়েছিলেন, অনাস্থা ভোটে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় গুরুংকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কারণ ওটা তাঁর সভাসদের অন্তর্গত। যদি তা না হয় তাহলে যে তিনি দল ছাড়বেন তা কলকাতায় হাইকমান্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন।
বুধবার দার্জিলিং পুরসভার ৩২ টি আসনের মধ্যে ৩১ টি আসনে অনাস্থা ভোটে ১৬ টিতে জিতে বোর্ডের দখল নেয় ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। ১৫ টি আসন নিয়ে প্রধান বিরোধী আসনে বসে হামরো পার্টি। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার জয়ী সদস্য অমর লামা জিটিএ নির্বাচনে লড়ার জন্য কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই আসনটিতে ভোট না হওয়ায় লড়াই হয় ৩১ টি আসনে। হামরো পার্টি থেকে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগদান করায় তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪।
আরও পড়ুন – ধূপগুড়িতে ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে চলছে প্রস্তুতি
তৃণমূলের দুটি আসন অনিতদের পক্ষে থাকায় তাদের মোট আসন সংখ্যা হয় ১৬। অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ৩ টি আসন নিয়ে হামরো পার্টির আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫। এখন অপেক্ষা নতুন বোর্ড গঠনের। হামরো পার্টি থেকে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগদান করায় তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪। তৃণমূলের দুটি আসন অনিতদের পক্ষে থাকায় তাদের মোট আসন সংখ্যা হয় ১৬। অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ৩ টি আসন নিয়ে হামরো পার্টির আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫। এখন অপেক্ষা নতুন বোর্ড গঠনের।
এর মাঝেই নিজের সিদ্ধান্তে অটল বিনয় তামাং তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। প্রেস কনফারেন্স করে তিনি বলেন, “দার্জিলিংয়ে গণতন্ত্র প্রায় নেই বললেই চলে। পাহাড়ে দুর্নীতি রুখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য নিজের জীবন দিতেও আমি রাজি।” সেই সঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকেও আক্রমণ করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, শাসকদল পাহাড়ে ‘অগণতান্ত্রিক’ কার্যকলাপ চালাচ্ছে। বিনয়ের পদত্যাগ নিয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শান্তা ছেত্রী বলেছেন, বিনয়বাবু তাঁকেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন, তিনি তা দলের হাইকমান্ডের কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “এই নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দল নেবে। আমার এ বিষয় নিয়ে কিছু বলার নেই।।”