উপাচার্যদের শোকজ লেটার রাজ্যপালের, রাজ্যপাল প্রসঙ্গে ব্রাত্য কি বলছেন? রাজ্যপালের সঙ্গে বলে আলোচনা করতে চাইছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু রাজ্যপাল একাই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিচ্ছেন। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ভাষাতেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ব্রাত্য। সম্প্রতি সাপ্তাহিক রিপোর্ট না পেয়ে একাধিক উপাচার্যকে শোকজ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে বলেও এদিন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। এরই মধ্যে এই শোকজ লেটার সেই সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
গত এপ্রিল মাসেই রাজ্যপাল তথা আচার্য রিপোর্ট চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন উপাচার্যদের কাছে। ওই চিঠি দেওয়ার পর থেকেই শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় রাজ্য-রাজ্যপালের। গত সপ্তাহে আরও একটি চিঠি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ সুবিধাজনক করতেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন আচার্য। এরপরও উত্তর না আসায় একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ করা হয়েছে। কেন রিপোর্ট দেওয়া হল না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
একদিকে আচার্য বিল পড়ে রয়েছে রাজভবনে। তার মধ্যেই শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বারবার চিঠি, রিপোর্ট তলবের বিষয়টা যে রাজ্য খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না, সেটা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। উল্লেখ্য, আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আনতে চায় রাজ্য। সেই বিল বিধানসভায় পাশ হলেও, তা এখনও পড়ে রয়েছে রাজভবনে।
শোকজের ব্যাপারে প্রশ্ন কপা হলে ব্রাত্য বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে আমরা আলোচনা চাইছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটা সদর্থক বৈঠক চাইছি। কিন্তু তিনি এককভাবে কাজ করছেন। শোকজ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এটা আইনি না বেআইনি, এটা করা যায় কি না, সে ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নেব।’
আরও পড়ুন – কিডনিতে পাথরের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান? ভয় না পেয়ে মেনে চলুন…
শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে উপাচার্যদের কাছে সাপ্তাহিক রিপোর্ট চাওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল শিক্ষামন্ত্রীর। দফতরকে না জানিয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।