কিডনিতে পাথরের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান? ভয় না পেয়ে মেনে চলুন এই নিয়ম

কিডনিতে পাথরের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান? ভয় না পেয়ে মেনে চলুন এই নিয়ম ,কিডনতে পাথর (Kidney Stone) জমার সমস্য়া বর্তমানে অতি সাধারণ। জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ এই সমস্যায় জর্জরিত। এর মধ্যে অর্ধেক ক্ষেত্রে কিডনির ক্ষতিও হয়। কিডনিতে পাথরের কারণে তীব্র ব্যথা সহ একাধিক সমস্য়া দেখা দেয়। যার কারণে জীবনযাত্রার মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সমস্যাকে অবহেলা করলে আরও বাড়তে পারে এই সমস্য়া। যেমন সংক্রমণ, মূত্রনালীতে বাধা, রক্তপাত ইত্যাদি। বরাবরের মতো এই ক্ষেত্রেও, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। তাই প্রথমেই কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে । জানুন আয়ুর্বেদের (Ayurveda) ঘরোয়া উপায়ের সাহায্যে প্রাকৃতিকভাবে কীভাবে এড়ানো যায় কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি।

 

 

 

 

 

 

এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

 

 

 

 

 

লবণ নিয়ন্ত্রণ: প্রক্রিয়াজাত খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে, যা কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমা হওয়ার হার বাড়িয়ে দেয়। কারণ এতে সোডিয়াম এবং ক্যালসিয়াম একইভাবে কিডনিতে পৌঁছায়, যার ফলে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমাতে কম সোডিয়ামযুক্ত তাজা খাবার গ্রহণ করা উচিত। কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি কম সোডিয়াম হার্টের জন্যও ভালো।

 

দুগ্ধাজাত দ্রব্য়: এটি একটি ভুল ধারনা যে কম ক্যালসিয়াম খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। তাই মানুষ বেশি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এটি একেবারেই ভ্রান্ত একটি ধারণা। প্রকৃতপক্ষে, কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি কমাতে ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে একজন ব্যক্তির দিনে তিন কাপের মতো দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত।

 

সাইট্রাস ফল: আমলকি, কমলালেবুর মতো ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। সাইট্রাস ফল সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা কিডনিতে পাথর তৈরিতে বাধা দেয় এবং যে পাথর তৈরি হয়েছে তা ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। সাইট্রিক অ্যাসিডের জন্য সাপ্লিমেন্টের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উত্সগুলির উপরেই ভরসা রাখুন প্রথমে।

 

ভেষজ প্রোটিন: অত্যধিক পরিমাণে প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রোটিনের প্রয়োজন মেটাতে, খাদ্যে প্রাণীজ প্রোটিনের পরিবর্তে, উদ্ভিদ-ভিত্তিক বিকল্পগুলি বেছে নিন। যেমন মটর, লেবু এবং ডাল।

 

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল: সুস্থ থাকতে প্রত্য়েক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরই নিয়মিত ৩-৩.৫ লিটার জল খাওয়া জরুরি। কারণ কম পরিমাণে তরল গ্রহণ করলে প্রস্রাব ঘনীভূত হয় এবং এটি ধীরে ধীরে কিডনিতে ক্রিস্টাল তৈরি করতে শুরু করে, যাকেই আমরা কিডনিতে পাথর বলে থাকি। আর এই সমস্যা এড়াতে হলে নিয়মিত বেশি করে জল পান করা উচিত।

 

আরও পড়ুন – কেজরীবালের মাস্টারস্ট্রোক! এবার বাংলায় দিল্লির ধাঁচে ‘মহল্লা ক্লিনিক’ খুলল AAP,

 

কুলথি ডাল: ঘোড়ার ছোলা যা কুলথি ডাল নামেও পরিচিত, একটি সুপরিচিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ। এর সাহায্যে কিডনিতে পাথরের সমস্য়া এড়ানো যায়। শুধু তাই নয়,কিডনিতে তৈরি হওয়া পাথর দূরও করা যায়। এতে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ানো এবং পাথর গলানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটা রুটি বা ভাতের সাথে খাওয়া যায়। তবে এটি উষ্ণ প্রকৃতির হওয়ায় প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয়। সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন খান