নন্দীগ্রামে দুর্ঘটনায় আর্থিক সাহায্য ঘোষণা রাজ্যের, শোকপ্রকাশ মমতা-শুভেন্দুর, দুই বাসের রেষারেষির জেরেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল নন্দীগ্রামে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। আহত প্রায় ৩০ জন। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বাস অপর বাসকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময় মাঝে চলে আসে একটি ট্রেকার। ট্রেকারের চালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে নন্দীগ্রামের চণ্ডীপুর রাজ্য সড়কের ঠাকুরচকের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ চণ্ডীপুর থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস নন্দীগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। রেষারেষির সময় নন্দীগ্রামে মেছেদার কাছে দুটি বাসের মাঝে ঢুকে যায় ট্রেকারটি। প্রথমে ট্রেকারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসের, পরে পেছনে থাকা আরও একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা মারে।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। উপস্থিত হন নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করার পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস ও ট্রেকারও উদ্ধার করা হয়েছে। খবর দেওয়া হয় এনডিআরএফ-কে। খবর পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাপতি সেখ সুফিয়ান, তমলুকের বিধায়ক তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্র। শোক প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। টুইটে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে ও আহতদের তিনি যথাসাধ্য সাহায্য করবেন।
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে করিডর করে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার করে ও বাকি আহতদের ৩০ হাজার টাকা করে চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন – রাজ্যের অডিট রিপোর্ট জমা পড়ল রাজভবনে, টুইট করে জানালেন রাজ্যপাল আনন্দ,
মৃত যাত্রীর নাম সৌম্যদীপ জানা (১৮)। বাড়ি নন্দীগ্রামের হরিপুরে। আর মৃত ট্রেকার চালকের নাম সঞ্জয় বাগ (৪০), তিনি চণ্ডীপুরের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও তমলুকের তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে। এছাড়া রেয়াপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যে কেন্দ্র ও চণ্ডীপুরেও অনেকের চিকিৎসা চলছে।