আদালত অবমাননার মামলায় এবার সশরীরে হাজিরার নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে

আদালত অবমাননার মামলায় এবার সশরীরে হাজিরার নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা আদালত অবমাননার মামলায় এবার সশরীরে হাজিরার নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে। আগামী ২৪ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। শুভেন্দুর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রুল জারির ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে সশরীরে আদালতে এসে জবাবদিহি করতে হবে। জানাতে হবে, কেন আদালতের নির্দেশ তিনি অমান্য করেছেন?

আরও পড়ুনঃ জিন্দল গোষ্ঠীর পাশে সৌরভের ইস্পাত কারখানা? অনুমোদন দিল রাজ্য?

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে গত ডিসেম্বরে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। শুধু তা-ই নয়, অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর আর্জি জানান তিনি। বিভিন্ন প্রচারসভা থেকেই শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমেই অশান্তি ছড়াচ্ছে। এর পরেই কলকাতা হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। সময়সীমাও বেঁধে দেয়।  তারা জানায়, হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা কার্যকর করা সম্ভব নয়। কারণ, ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে রাজ্য। এ ব্যাপারে অনুরোধ করা তাদের কাজ নয়।

 

শুভেন্দুর অভিযোগ, সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে তারা আদালত অবমাননা করেছে। এই অভিযোগ জানিয়ে ফের তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। প্রধান বিচারপতি সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কমিশন যে হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করেনি, তা সংবাদপত্র মারফত জানতে পেরেছেন তিনিও। সেই মামলাতেই এ বার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রুল জারি করল হাই কোর্ট। আদালতে উপস্থিত হয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজীবকে জানাতে হবে, কেন আদালতের নির্দেশ তিনি অমান্য করেছেন?

 

তারা জানায়, হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা কার্যকর করা সম্ভব নয়। কারণ, ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে রাজ্য। এ ব্যাপারে অনুরোধ করা তাদের কাজ নয়। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কমিশন যে হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করেনি, তা সংবাদপত্র মারফত জানতে পেরেছেন তিনিও। সেই মামলাতেই এ বার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রুল জারি করল হাই কোর্ট। আদালতে উপস্থিত হয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজীবকে জানাতে হবে, কেন আদালতের নির্দেশ তিনি অমান্য করেছেন?

en.wikipedia.org