সমবায় দুর্নীতিতে শনিবার সাত সকালে আলিপুরদুয়ারে হানা সিবিআইয়ের

পাসপোর্ট জালিয়াতিতে এবার সক্রিয় সিবিআই

সমবায় দুর্নীতিতে শনিবার সাত সকালে আলিপুরদুয়ারে হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। ৫০ কোটির সমবায় দুর্নীতিতে সকাল সকাল আলিপুর সমবায় সমতিতে হানা সিবিআইয়ের। সূত্রের খবর, এদিন একসঙ্গে একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা।

 

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গপাধ্যায়ের নির্দেশে আলিপুরদুয়ারে সমবায় দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, এদিন সকাল আটটা নাগাদ তৃপ্তিকণাদেবীর বাড়িতে পৌঁছন তদন্তকারীরা। সমবায় সমিতির ম্যানেজার তৃপ্তিকণা চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।  এদিন প্রায় একই সময়ে সিবিআইয়ের আরও দুটি দল পৌঁছে যায় সমবায়ের অপর দুই কর্তার বাড়িতে।

আরও পড়ুনঃ হড়পা বানের পর নতুন বিপদ সিকিমে, হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তিস্তা

আগেই ‘মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি’তে ৫০ কোটিরও বেশি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল আলিপুরদুয়ারে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিআইডি। রাজ্যের গোয়েন্দারা সমবায় দুর্নীতির ঘটনায় ৬জনকে গ্রেফতার করেন। তবে সিআইডির তদন্ত নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না মামলাকারীদের একাংশ। সিবিআই-ইডির হস্তক্ষেপ চেয়ে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন অভিযোগকারীরা। ওই মামলাতেই গত ২৫ অগাস্ট সিআইডি তদন্ত বন্ধ করে অবিলম্বে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তভার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

 

জানা গেছে, ২১ হাজার সদস্য রয়েছেন ওই সংশ্লিষ্ট সমবায়ে। কিন্তু সেখানে কাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে, তার সঠিক কোনও নথি নেই। সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর। জানা গেছে, ২১ হাজার সদস্য রয়েছেন ওই সংশ্লিষ্ট সমবায়ে। কিন্তু সেখানে কাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে, তার সঠিক কোনও নথি নেই। সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর।

 

এরপরই রাজ্য গোয়েন্দাদের হাত থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তদন্তভার হস্তান্তরের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এবিষযে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ১২ অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেকারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তড়িঘড়ি এই তল্লাশি অভিযান বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এরপরই রাজ্য গোয়েন্দাদের হাত থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তদন্তভার হস্তান্তরের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এবিষযে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ১২ অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেকারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তড়িঘড়ি এই তল্লাশি অভিযান বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।