বুধবার লাগাতার বৃষ্টির জেরে সমতলে নেমে এসেছে তিস্তা। সিকিম, কালিম্পঙ জুড়ে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ পরিস্থিতি। গোটা উত্তরবঙ্গ ভাসছে তিস্তার জলে। প্রতিদিন মৃত্যু সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভেসে আসছে একের পর এক দেহ। আর পাহাড়ের এই বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই কারণে আজই পাহাড় পরিদর্শনে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস্কে পাঠাচ্ছেন। আজ দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে কালিম্পঙের উদ্দেশে রওনা দেবেন মন্ত্রী অরূপ। উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য অরূপ বিশ্বাসকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ এশিয়াডেতে ১০০ পদক জয় ভারতের, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, বুধবার ওই ভয়াবহ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার পাহাড় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিল্লি থেকে সোজা বাগডোগরা হয়ে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন কালিম্পঙে। সেখানে তিস্তার হড়পা বানে বিপর্যস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের আশ্বস্ত করেন। পাশে থাকার বার্তা দেন। সেদিনই আবার উত্তরবঙ্গ থেকে দিল্লিতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর আজ রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। কালিম্পঙে হড়পা বানে বিধ্বস্ত পরিবারগুলির কঠিন সময়ে পাশে থাকবেন তিনি।
অন্যদিকে, পাহাড়ের এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবারই নবান্নে এসেছিলেন জিটিএ প্রধান অনিত থাপা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। তিস্তার হড়পা বানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। গতকাল জিটিএ প্রধান অনিত থাপার সঙ্গে ফোনে কথার পর আজই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে উত্তরবঙ্গে পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দুপুরেই বাগডোগরা হয়ে কালিম্পঙে পৌঁছে যাবেন তিনি। তিস্তার হড়পা বানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। গতকাল জিটিএ প্রধান অনিত থাপার সঙ্গে ফোনে কথার পর আজই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে উত্তরবঙ্গে পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দুপুরেই বাগডোগরা হয়ে কালিম্পঙে পৌঁছে যাবেন তিনি।
এদিকে, তিস্তার হড়কা বানের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই বিধস্ত চেহারা আরও প্রকট হয়েছে নদীর দুই পাড়ে। জলস্তর কমে আসতেই বেরিয়ে আসছে পলির স্তর। কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে কোনও বাড়ির একতলার পুরোটাই চলে গিয়েছে পলির স্তরের নীচে। এদিকে, তিস্তার হড়কা বানের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই বিধস্ত চেহারা আরও প্রকট হয়েছে নদীর দুই পাড়ে। জলস্তর কমে আসতেই বেরিয়ে আসছে পলির স্তর। কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে কোনও বাড়ির একতলার পুরোটাই চলে গিয়েছে পলির স্তরের নীচে।