চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে। ফের নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বুধবার এই সংক্রান্ত আবেদন আলিপুর অয়াদালতে জানায় সিবিআই। তাদের দাবি, নিয়োগ মামলায় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তাদের হাতে। তারই জন্য ফের পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানায় সিবিআই
আরও পড়ুনঃ ইজরায়েলে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্য আজ থেকে শুরু হল ভারতের ‘অপারেশন অজয়’
বুধবার ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন করে আদালতে মামালা দায়ের করেন আইনজীবী। সেই মামলা চলাকালীন আদালতের বিচারপতি মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তদন্তকারী অফিসারদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা তখন জানায়, যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে তাঁদের হাতে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সেই কারনেই ফের রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করা জরুরি।
২০২২ সালের জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ট বান্ধবীর বাড়ী থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। এরপর তদন্ত শেষ হওয়ার পর আপাতত আলিপুর আদালতেই আছেন তিনি। বুধবার ফের তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানান আলিপুর আদালতে। আদালত সুত্রে খবর, সেই সময় ইডির তরফের আইনজীবী তাঁকে নিয়োগ মামলায় প্রভাবশালী বলে দাবি করেন।
সুত্রের খবর, এদিন আদালতে পার্থ কতটা প্রভাবশালী তা জানায় তদন্তকারীরা। তাদের দাবি, ২০২২ -এ গ্রেফতারের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে সেই ফোন তোলা হয়নি। পরবর্তীতে মামলার অ্যারেস্ট মেমোতেও মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিস্ট আত্মীয় বলে নিজেকে পরিচয় দেন তিনি। আদালত থেকে জেল দেওয়ার পর নিয়ামানুসারে, সমস্ত অভিযুক্তদের কাছ থেকে সোনার গহনা খুলে নেওয়া হয়। কিন্তু পার্থর হাতে এখনও সোনার আংটি আছে। এছাড়াও ইডির বক্তব্য, আদালতে নিয়ে আসার জন্য পৃথক গাড়ির ব্যবস্থা করা হয় তাঁর জন্য। তাই নিয়োগ মামলায় তিনি প্রভাবশালী। সে কারণে তাঁর জামিন নাকচ করার আবেদন জানানো হয়েছে ইডির তরফ থেকে। পাশাপাশি, আবারও তাঁকে নিয়োগ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও ইডির বক্তব্য, আদালতে নিয়ে আসার জন্য পৃথক গাড়ির ব্যবস্থা করা হয় তাঁর জন্য। তাই নিয়োগ মামলায় তিনি প্রভাবশালী। সে কারণে তাঁর জামিন নাকচ করার আবেদন জানানো হয়েছে ইডির তরফ থেকে। পাশাপাশি, আবারও তাঁকে নিয়োগ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।