গুরুগম্ভীর আলোচনা চলল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির চেম্বারে।

গুরুগম্ভীর আলোচনা চলল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির চেম্বারে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

গুরুগম্ভীর আলোচনা চলল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির চেম্বারে। গর্ভস্থ সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে ৪০ মিনিট ধরে গুরুগম্ভীর আলোচনা চলল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির চেম্বারে। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া এক কলেজ ছাত্রীর সন্তানের জন্ম নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এই আলোচনা চলেছে। ২০ বছরের ওই কলেজ ছাত্রী গর্ভপাত করাতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি চান। তাঁর অন্তঃসত্ত্বাকাল ২৯ সপ্তাহ পেরিয়েছে। দিল্লির এমস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ বোর্ড ওই ছাত্রীর গর্ভপাত করানো ঝুঁকি পূর্ণ বলে পরামর্শ দিয়েছে। ওই ছাতীর অন্তঃসত্ত্বার ব্যাপারে অবহিত ছিলেন না তাঁর পরিবারের লোকেরা। পরে বিষয়টি সামনে আসে। এই গর্ভপাতের মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে। সেই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং জেবি পারদিওয়ালা।

 

 

 

বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি চলার সময় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান সলিসিটর জেনারাল তুষার মেহতা এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারাল ঐশ্বর্য ভারতীকে। তিন বিচারপতি, মেহতা ও ভারতীর উপস্থিতিতে ৪০ মিনিট ধরে চলে আলোচনা।

 

 

 

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের চেম্বারে সলিসিটর জেনারাল তুষার মেহতা জানান, তিনিও এক সময় একটি বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। অথান শিশুর দায়িত্ব নেওয়া সকলের কর্তব্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জানান ওই গর্ভস্থ সন্তানের জন্য একটি যুগলকেও পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা দত্তক নিতে আগ্রহী। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারাল ঐশ্বর্য ভারতীও জানান, তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। সে রকম পরিস্থিতি হলে তিনিও ছাত্রীর গর্ভস্থ সন্তানকে তিনি দত্তক নিতে প্রস্তুত বলে জানান প্রধান বিচারপতিকে।

 

আরও পড়ুন – অভিষেক-গড়ে বিজেপির বৈঠক উপলক্ষে পতাকা লাগানো নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দল

সুপ্রিম কোর্ট ওই ছাত্রীর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি। তবে সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদের বিশেষ ক্ষমতা বলে কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লি এমস হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর স্বাস্থ্য, শিশুর জন্ম এবং শিশুর উন্নয়নের বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখে ব্যবস্থা নিতে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আশ্বাসে সন্তানের জন্ম দিতে রাজি হয়েছেন ওই কলেজ ছাত্রী। তিনি সন্তানের জন্ম দিলে সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথোরিটিতে নথিভুক্ত করিয়ে দত্তকে ইচ্ছুক দম্পতি যাতে শিশুর দায়িত্ব নেন তা নিশ্চিত করতে সলিসিটর জেনারাল তুষার মেহতাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top