বন্দেভারতে হামলা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও

বন্দেভারতে হামলা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বন্দেভারতে হামলা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও. বন্দেভারতে  হামলার ঘটনার তদন্ত নিয়ে একেবারে ভিন্নমত শোনা গেল বিজেপি দুই সাংসদের মুখে। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জোর তরজা। আর এর মধ্যেই বন্দেভারতে হামলা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে উড়ে যান প্রশাসনিক প্রধান। আর সেখানে উড়ে যাওয়ার আগে বন্দেভারতে হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকদের।

 

আর সেই উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা, আমাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করবেন না। আমি গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। ভালো মেজাজে আছি… গঙ্গাসাগর নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন প্রশাসনিক প্রধান। কার্যত হামলার বিষয়টি এভাবেই সুকৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। মত রাজনৈতিকমহলের।

 

অন্যদিকে বন্দেভারতে হামলা নিয়ে বিজেপির অন্দরে দুই মত। ইতিমধ্যে বঙ্গ বিজেপির তরফে ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। এমনকি সিবিআইয়ের তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে। আর এর মধ্যেই সিআইডি তদন্তেই আস্থা রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গেরুয়া দলের সাংসদ সুভাষ সরকার। তাঁর দাবি, তদন্তের ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট যোগ্য। তবে পুরো ঘটনা পরিকল্পিত বলেই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।

 

এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উন্নয়নই কী রাজ্য প্রশাসন বরদাস্ত করতে পারছেন না? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিজেপি নেতার মতে, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিন। রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট যোগ্য বলে দাবি। আর এহেন মন্তব্যে ফিরহাদের দাবি, সুভাষ সরকারের দেরিতে হলেও বুদ্ধি খুলেছে। তাই তিনি বলেছেন সিআইডি রাজ্য পুলিশ দিয়ে বন্দে ভারত কাণ্ডের তদন্ত করাতে। যদিও এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন – দলকে চাঙ্গা করতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মালদহে এনে চমক দিতে চাইছেন কংগ্রেস

শুধু তাই নয়, উদ্বোধনের সময় জয় শ্রী রাম স্লোগানের প্রতিশোধেই এই হামলা? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কার্যত একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, জয় শ্রীরামের বদলা পাথর ছুঁড়ে করা হচ্ছে না তো? কাশ্মীরে দেশ প্রেমীদের পাথর ছুঁড়ে মারা হতো। এখানে রাষ্ট্রবাদীতার প্রতীক বন্দে ভারতে পাথর মারা হচ্ছে।

 

আমরা দেখেছি, স্টেশনে স্টেশনে কি বিপুল উন্মাদনা। ট্রেনকে স্বাগত জানানোর জন্য মানুষের সীমাহীন উৎসাহ। মানুষ এই ট্রেনকে আন্তরিকভাবে নিয়েছেন। এতে মুখ্যমন্ত্রী বোধহয় খুব কষ্ট পেয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গকে পিছন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, জনতাকেও এগোতে দিচ্ছেন না। যারা এগোতে চাইছে, তাদের পাথর মারা হচ্ছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top