দুষ্টুমি করলে চড় মারার নিদান!কোচবিহারের জনসভা থেকে নিদান মমতার, সব কেন্দ্রের প্রার্থীই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনী প্রচারে প্রায়শই এমন কথা শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের সুপ্রিমোর মুখে। পাশাপাশি, তাঁর মুখে আর একটি কথা শোনা যেত, যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে, ক্ষমা করে দেবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একই সুর শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। কোচবিহারের চান্দামারিতে তাঁর প্রথম নির্বাচনী প্রচারে এসে অকপটে ভুল স্বীকার করে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন তিনি।
তবে এখানেই না থেমে ‘দুষ্ট’ কর্মীদের শায়েস্তা করতে মমতার নিদান, “কেউ দুষ্টুমি করলে দুটো চড় মারবেন। এই অধিকার আমি আপনাদের দিয়ে গেলাম।” কোচবিহারের সভা থেকে সমেবত জনতার উদ্দেশে এদিন এক কথাই বলেন তিনি। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় তৃণমূলের মেগা প্রচারে নেমে পড়েছেন শাসকদলের ৫৮ নেতা। নেমে পড়েছেন খোদ মমতাও। (Mamata Banerjee) রবিবার বিকালেই কোচবিহারে পৌঁছে যান তিনি। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ চান্দামারির সভামঞ্চে আসেন তিনি। এখান থেকেই শুরু হয়ে যায় পঞ্চায়েত ভোটের আবহে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রথম নির্বাচনী প্রচার।
আরও পড়ুন – সতর্কবার্তা আয়কর দফতরের , 4 দিনের মধ্যে PAN Aadhaar লিঙ্ক না করলে…
এ দিন মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, “যদি আমাদের কেউ দুঃখ দিয়ে থাকে তাহলে আমি তাঁদের হয়ে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি। ভুল বুঝবেন না।” পাশাপাশি ‘দুষ্টু’ কর্মীদের ভুল শোধরাতে দিলেন চড় মারার নিদানও। প্রসঙ্গত, ভোটমুখী বাংলায় লাগাতার অশান্তির খবর এসেছে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মনোনয়ন পর্বে। বহু জেলায় বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঘাসফুল শিবিরের (Trinamool Congress) কর্মীদের বিরুদ্ধে। উঠেছে বোমাবাজি, ভয় দেখানোর অভিযোগও। ভোট ঘোষণার পর থেকে বাংলায় এখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৯ জন কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। এই আবহে মমতার ক্ষমা চাওয়া বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।