মমতার সঙ্গে বৈঠক শেষে ‘আশ্বস্ত’ কুড়মি প্রতিনিধিরা , কুড়মি আন্দোলেনের জেরে রাজ্যের জঙ্গলমহল সাম্প্রতিক কালে স্তব্ধ হয়েছে একাধিক বার। ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সড়ক পথও হয়েছিল অবরুদ্ধ। তফশিলি জাতিভুক্ত করা নিয়ে পথে নেমেছে কুড়মি সমাজ। এ বার কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় কুড়মি সমাজের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া এলাকার বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতা। যদিও এই বৈঠকের পর কোনও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তবে বৈঠকের পর কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কুড়মিদের তফশিলি জাতিভুক্ত করার বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।
তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি দিন কয়েক আগেই কুড়মিদের খলিস্তানপন্থীদের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক ছড়িয়েছিল বিস্তর। কুড়মি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে রুষ্ট হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও (Mamata Banerjee)। ভাবাবেগে আঘাত লাগলে কুড়মিদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। এর পরই কুড়মিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার নবান্নে কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে কুড়মি সমাজের পক্ষে বৈঠকে রয়েছেন শুভেন্দু মাহাত, সুনীল মাহাত ও বিজয় মাহাত। এ ছাড়াও ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েক জন নেতাও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। এই বৈঠকে কুড়মিদের দাবি-দাওয়া মেটানোর আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন – বিধাননগর পুরসভায় একাধিক বেআইনি নিয়োগ! CBI-ED তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা
বৈঠকের পর কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কুড়মিদের তফশিলি জাতিভুক্ত করার বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া কুড়মি ডেভলপমেন্ট বোর্ড ফের একবার চালু করা হবে। পুরুলিয়া সরকারি কলেজকে চুনারাম মাহাত ও গোবিন্দ মাহাতর নামে করার দাবি পক্ষেও মুখ্যমন্ত্রী সহমত পোষণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। কুড়মিদের উন্নয়নে জোর দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এ ছাড়া কুড়মি ডেভলপমেন্ট বোর্ড ফের একবার চালু করা হবে। পুরুলিয়া সরকারি কলেজকে চুনারাম মাহাত ও গোবিন্দ মাহাতর নামে করার দাবি পক্ষেও মুখ্যমন্ত্রী সহমত পোষণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।