লবণ ছাড়া যেকোনো খাবারের স্বাদ যেন ফিকে। তাই হেঁসেলে আর যাই থাকুক বা না থাকুক লবণ থাকা চাই।তবে লবণের প্রয়োজনীয়তা কেবল খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, লবণ আমাদের শরীর সুস্থ রাখতেও এক বিশাল বড়ো ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যদি বেশি উপকার পাওয়ার আশায় বেশি লবণ খান তখন হিতে বিপরীত হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত লবণ তরল ধারণ করতে পারে। এটি হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দিতে পারে, কিডনি নষ্ট করতে পারে এবং হার্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই লবণ খাওয়ার পরিমাণ পরিমিত হতে হবে। নয়তো সামান্য লবণের কারণে আপনাকে ভুগতে হতে পারে মারাত্মক সব অসুখে।
আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে বসেই তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সবর সুকান্ত মজুমদার
রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে: যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা লবণ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলবেন। কারণ অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। সেইসঙ্গে এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির সমস্যার ঝুঁকি। যাদের উচ্চ রক্তচাপ নেই তারাও অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা সৃষ্টি করে: অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে তা হার্ট এবং রক্তনালীগুলোকে চাপ দিতে পারে। এথেরোস্ক্লেরোসিস, হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার এই অভ্যাস। তাই এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করে: অতিরিক্ত লবণ খেলে তা কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কারণ লবণ বেশি খেলে তা কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কিডনি ভালো না থাকলে তার প্রভাব পড়বে পুরো শরীরেই। তাই সময় থাকতে সতর্ক হোন।
তরল ধরে রাখে: লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে, যে কারণে শরীরে ফোলাভাব সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত লবণ খেলে তা হাত, পা এবং গোড়ালিতে প্রচুর ফ্লুইড জমার কারণ হতে পারে। এর ফলে শরীরের এই অংশগুলো ফুলে যায়। এ ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য লবণ খাওয়ার পরিমাণ পরিমিত করতে হবে।
অস্টিয়োপোরোসিস সৃষ্টি করতে পারে: হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দিতে পারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল করে দিতে পারে এবং বাড়াতে পারে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি। তাই হাড় ভালো রাখতে লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। প্রথমদিকে মুখে ততটা স্বাদ না লাগলেও ধীরে ধীরে অভ্যাস্ত হয়ে যাবেন।