ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রোজকার ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রোজকার ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি

এখন বেশিরভাগ মানুষ ভুগছেন ইউরিক অ্যাসিডে। মানব দেহে যখন এই ইউরিক অ্যাসিডের পরিমান বেড়ে যায় তখন  শরীরে গেঁটে বাত বা গিরায় ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি অকেজো হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে এর অনেক ভালো দিকও আছে। আসলে আমাদের শরীরে কোনো কিছুই মাত্রাতিরিক্ত ভালো নয়। মানব দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষায় ইউরিক অ্যাসিডের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে মানব দেহে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তেমনি, ইউরিক অ্যাসিডের যেমন ভালো দিক রয়েছে শরীরের জন্য। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী খাবার খেলে শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবেঃ

আরও পড়ুনঃ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ, ল কলেজে অধ্যক্ষের অফিসের তালা খুলে দিতে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

ভিটামিন সি যুক্ত খাবারঃ

মানব দেহে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি সাধারনত টক জাতীয় খাবার, তাই এতে নিয়ন্ত্রণে থাকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।  কমলা লেবু, পাতি লেবু, গোল মরিচ ইত্যাদির মধ্যে পাওয়া যায় ভিটামিন সি।

 

ফাইবার জাতীয় খাবারঃ

সবুজ সবজি মানে ফাইবার। তাই শাক সবজি জাতীয় খাবারে থাকে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। বিভিন্ন শাকপাতা, শসা, আপেল, ওটস, হোল গ্রেন ইত্যাদি খাবার ফাইবারের যোগান দেয়।

 

গ্রিন টিঃ

স্বাস্থ্যকর হওয়ার পাশপাশি এই কাজটিও করে গ্রিন টি। গ্রিন টি-তে থাকে ক্যাচিন, যার  আসলে প্রোটিন জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

 

অলিভ ওয়েলঃ

অলিভ ওয়েলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। যার ফলে ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে ভীষণই কার্যকর।

 

সবজির রসঃ

গাজর, বিট, শসার রস ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করেন।

 

আপেলের রসঃ

আপেলের রস বা আপেল থেকে তৈরি ভিনিগার দুই থেকে তিন চামচ জলে গুলি খেলে, ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে কার্যকরী ফলাফল দেখা যায়।

 

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেছে কীকরে বুঝবো ?

ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া

প্রস্রাবের সময় জ্বালা অনুভব হওয়া

পায়ের পাতা  ফুলে যাওয়া

গাঁটে ব্যথা হওয়া

পেশিতে টান ধরা

এই সমস্যাগুলি দেখা গেলে, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। হতেই পারে আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেছে। এছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে স্টোন, হার্টের সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত একজন পূর্ন বয়স্ক মানুষের দেহে,  পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৭ মিলিগ্রাম এবং নারীদের ৬ মিলিগ্রাম থাকা উচিত।

en.wikipedia.org