বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ, ল কলেজে অধ্যক্ষের অফিসের তালা খুলে দিতে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

এবার নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের নয়া অফিসার নিয়োগ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

ফের ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে গেল বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। গত সপ্তাহে যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কার অপসরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। বুধবার সকালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার মধ্যে নিযুক্ত হওয়া স্পেশাল অফিসার অধ্যক্ষের অফিসের তালা খুলে দেবে।

আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই আমেদাবাদের উদ্দেশ্যে গিল, তবে কী পাকিস্তানের ম্যাচে পাওয়া যাবে তাঁকে?

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির সিঙ্গেল বেঞ্চ গত সপ্তাহে যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে কলেজ থেকে অপসরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, ওই অধ্যক্ষের অফিসেও তালা ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। স্পেশাল অফিসারকে পরদিনই তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আসেন তাঁর কক্ষে। অধ্যক্ষের বিষয়ে বিচারপতি সাফ জানিয়েছিলেন তাঁর ওই পদে বসার যোগ্যতা নেই। তবে শুধু সুনন্দা নয়  অচিনা কুণ্ডু  নামে আরও একজন শিক্ষিকাকে কলেজে না প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

 

এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হন সুনন্দা ভট্টাচার্য। বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দেন ডিভিশন বেঞ্চ। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ হিসেবে ডিভিশনে বেঞ্চের বিচারপতি তপোব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্পেশাল অফিসার আগামীকাল সকাল ন’টায় অধ্যক্ষের ঘরের তালা খুলে দেবেন। তাঁর উপস্থিতিতেই টিচার ইনচার্জকে সমস্ত দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে। আগামীকাল থেকেই অধ্যক্ষ আবার কলেজে যেতে পারবেন।

 

আদালতের দেওয়া নির্দেশ ঠিকভাবে মান্যতা দেওয়া হল কিনা সে বিষয়ে একটি হলফনামা জমা দিতে হবে আগামী শুক্রবার ওই স্পেশাল অফিসারকে। চারু মার্কেট থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে কলেজ চত্বরে যাতে কোনো অশান্তির সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে নজর রাখতে। এছাড়া আদালতের নির্দেশ অক্টোবরের মধ্যে কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের বেতন দিতে হবে। নতুন করে গভর্নিং বডির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 

ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যেহেতু ২০১৫ সালে কলেজ কমিশনের রেকমেন্ডেশন দ্বারা তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাই একটা ফোন কলের মাধ্যমে তাঁকে অপসরণ করা যাবে না। ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে এদিন আরও জানানো হয়, প্রিন্সিপালের অপসারণের মূল মামলার শুনানি হবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই।

en.wikipedia.org