একদিকে রাজভবনে রাজ্যের শাসক দল, অন্যদিকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিপিএম, সব মিলিয়ে আজ সরগরম কলকাতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-সিবিআইয়ের অফিসে অভিযান করবে সিপিএম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই দুই সংস্থা সাজানো তদন্ত করছে বলে সিপিএমের অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় শাসক দলের বিরুদ্ধে এবার প্রধান বিচারপতিকে চিঠি প্রেস সংগঠনগুলির
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা হাডকো মোড়ে জড়ো হয়ে সেখান থেকে মিছিল করে সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন। এই কর্মসূচির দায়িত্বে আছে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি। তবে সব জেলাকেই কর্মসূচিতে শামিল হতে বলা হয়েছে।
গত তিন-চারদিন রাজ্য-রাজ্যনীতি তপ্ত ছিল তৃণমূলের দিল্লি অভিযান নিয়ে। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ে রাজ্যের শাসক দলের দিল্লি অভিযান নাটকীয় মোড় নেয় কেন্দ্রীয় সরকার নানাভাবে তাতে বাধা সৃষ্টি করায়। কথা দিয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা না করায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির কৃষি ভবনে দলের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের নিয়ে ধরনায় বসেছিলেন গত মঙ্গলবার। তাদের চ্যাংদোলা করে বের করে দেয় পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় অভিষেক রাজ্যে ফিরে ঘোষণা করেন বৃহস্পতিবার তাঁরা একই ইস্যুতে রাজভবন অভিযান করবেন। বিকালে মিছিল করে রাজভবন যাওয়ার কথা তৃণমূলের। একই সময় বিরোধী দল সিপিএম সল্টলেকে ইডি-সিবিআই দফতর অভিযান করবে।
চোর ধরো স্লোগান সামনে রেখে ডাকা এই কর্মসূচি নিয়ে সিপিএম ফের তৃণমূল-বিজেপি সেটিং তত্ত্ব সামনে এনেছে। দলের বক্তব্য, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমকে পাঁচিল টপকে বাড়িতে ঢুকে গ্রেফতার করা হয়। আপের সাসংদ সঞ্জয় সিং’কে জেরা চলাতালীন গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সাজিয়ে দিয়েছিল। সেফলি তোলা থেকে প্রেস কনফারেন্স সবই করতে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সাজিয়ে দিয়েছিল। সেফলি তোলা থেকে প্রেস কনফারেন্স সবই করতে দেওয়া হয়েছে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, এই ম্যাচ ফিক্সিং মানুষ ধরে ফেলেছে। সেলিমের কথায়, আরএসএস তৃণমূলে নতুন নেতা তৈরি করতে চাইছে। বিজেপি ব্যর্থ, বিজেপি ব্যর্থ। আরএসএস এখন তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর দ্বিতীয় নেতা তৈরি করতে চাইছে বাংলায়। মানুষ ধরে ফেলেছে। সেলিমের কথায়, আরএসএস তৃণমূলে নতুন নেতা তৈরি করতে চাইছে। বিজেপি ব্যর্থ, বিজেপি ব্যর্থ। আরএসএস এখন তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর দ্বিতীয় নেতা তৈরি করতে চাইছে বাংলায়।