পাহাড়ে গুরুং-তামাংদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে সিপিএম। বিমল গুরুংদের ডাকে সাড়া দিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সমন পাঠকের গোর্খা স্বাভিমান সংঘর্ষ সমিতি নামে মঞ্চ হাজির হওয়ার পর রাজনৈতিক মহল পাহাড়ে অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত পেতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সিপিএম প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে এবার পাহাড়ে গুরুং-তামাংদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে। এই গোর্খা স্বাভিমান সংঘর্ষ সমিতির মঞ্চে সিপিএমের জেলা সম্পাদক উপস্থিত হয়ে খানিক অস্বস্তিতেও পড়েন। সিপিএম পাহাড়ে প্রাসঙ্গিকতা ফেরাতে গিয়ে বিতর্ক ডেকে এনেছে। কেননা কেউ সরাসরি, কেউ ঘুরিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলেছে এই মঞ্চে উপস্থিত হয়ে।
সেখানে সিপিএমেপর সমন পাঠক গোর্খাল্যান্ডের কথা না বললেও গোর্খাদের সম্মান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে সরব হন। সমন পাঠক বলেন, আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পুরবোর্ড দখলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য। তাই আমি এসেছিলাম। আমরা কখনই আলাদা রাজ্যের পক্ষে নয়। আমরা অনৈতিক রাজনীতির বিপক্ষে। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম গোর্খাল্যান্ডের দাবিতেই এই মঞ্চ। আমরা গোর্খাল্যান্ড চাই না, আমরা গোর্খাদের সম্মান ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ চাই। দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠকের সুরে সুর মিলিয়েই প্রাক্তন মন্ত্রী সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, পাহাড়ে জনসভা হয়েছিল অনৈতিক পুরসভা দখলের বিরুদ্ধে। তাই আমাদের দল তাতে শামিল হয়েছিল।
আরও পড়ুন – গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি
আমরা সবসময় তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে রয়েছি। মঞ্চে কেউ কিছু দাবি করতেই পারেন। আমরা গোর্খাল্যান্ডের সমর্থক নই। বামেদের এই অবস্থানের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের কটাক্ষ, বামেরা তৃণমূলের বিরোধিতা করতে গিয়ে কোথাও বিজেপি, কোথাও কংগ্রেসের হাত ধরেছে। তাই এটা নতুন কিছু নয়। ওঁরা মুখে বলছে, গোর্খাল্যান্ডের সমর্থক নয়, অথচ ওদের সম্পাদর গোর্খাল্যান্ডের মঞ্চে যাচ্ছে। আসলে ওরা আদর্শচ্যুত হয়েছে। তাই যাকে পা্চ্ছে তারই সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে।